ছবি: সংগৃহীত।
অমিত শাহের পদযাত্রা ঘিরে তাণ্ডব ও তার জেরে পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন মায়াবতী, অখিলেশ যাদব-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতারা। নির্বাচন কমিশনের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে কংগ্রেসও।
আজ সকালেই মায়াবতী বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে প্রচারের সময় এমন ভাবে ছেঁটে দিয়েছে, যাতে নরেন্দ্র মোদী দু’টি জনসভা করতে পারেন। কেন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল না? এটা অত্যন্ত অন্যায় এবং চাপের মুখে পড়ে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ বিএসপি নেত্রীর মন্তব্য, ‘‘মোদী, অমিত শাহ এবং বিজেপি-র নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন। এটা সুপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। খুব বিপজ্জনক প্রবণতা তৈরি হয়েছে, যা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মানায় না।’’
একই সুর অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের কথাতেও। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘রাত দশটায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন আসলে মোদীকে বিদায়ী উপহার দিয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে তাণ্ডব হচ্ছে আর কমিশন নখদন্তহীন হয়ে বসে রয়েছে। মোদীর সুবিধা দেখছে।’’ অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা বলেন, ‘‘সমস্ত বিরোধী দলগুলির উচিত মমতার সঙ্গে থাকা।’’ পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি মমতাকে ‘শেরনি’ বলেছেন। মমতার পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। বলেছেন, লোকসভা ভোটে এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিরাট ভাবে জয়ী হবে তৃণমূল। এই বিষয় নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য কংগ্রেস এবং অন্য দলগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা।
বারাণসীর জনসভায় অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী। পিটিআই
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রচারের সময় ছেঁটে দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে আজ নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে যান কংগ্রেস, আপের মত বিরোধী দলগুলির নেতারা। কমিশনের সঙ্গে ৪৫ মিনিট বৈঠক সেরে বেরিয়ে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙঘভি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ যা হয়েছে, তা অনৈতিক। দোষ করেছে বিজেপি অথচ শাস্তি পেল অন্য দলগুলি।’’ তবে বিরোধীদের সংঘবদ্ধ আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে তাঁর ব্লগে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি। তাঁর কথায় ‘‘এক জন ব্যক্তিকে ভয় পেয়ে সব বিরোধী দল একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে।’’
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ভোটের ফল বের হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেসের নেতৃত্বে দিল্লিতে কোনও বৈঠক করার প্রশ্নে আপত্তি জানিয়ে রেখেছেন মমতা। তবে এই সময়ের মধ্যে অকংগ্রেস এবং অবিজেপি দলগুলির মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন মমতা, মায়াবতীর মতো নেত্রীরা। তৃণমূল নেত্রী চাইছেন, ২৩ তারিখ কার ঝুলিতে কত আসন আসে, তা দেখেই পরের পদক্ষেপ করতে। অন্য দিকে জগন্মোহন রেড্ডি, চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। একসঙ্গে যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তার জন্যই প্রস্তুতি।
এই আবহেই মথুরাপুরের জনসভায় মমতা বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ, মায়াবতী গোঁত্তা দিয়েছে। বাংলাতেও গোঁত্তা খাবে। গোল্লা পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy