Advertisement
১০ মে ২০২৪

পশ্চিম ত্রিপুরার ১৬৮ বুথে আবার নির্বাচন

গত ১১ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরার ভোটে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপি, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনের কাছে। সমস্ত রকমের নথি, রিপোর্ট ও ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাপি রায়চৌধুরী
আগরতলা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ০২:৪৬
Share: Save:

পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ১৬৮ ভোট কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ১২ মে মোট ১ লক্ষ ৪১ হাজার ভোটার ফের ভোট দেবেন।
গত ১১ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরার ভোটে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপি, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনের কাছে। সমস্ত রকমের নথি, রিপোর্ট ও ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি কেন্দ্রের এতগুলি বুথে একসঙ্গে পুনর্নির্বাচনের আদেশ স্মরণকালে কমিশনকে নিতে হয়নি বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তে অখুশি বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস। তাদের দাবি ছিল, ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ করতে হবে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ জানিয়েছেন, তাঁদের প্রার্থী তথা এই আসনের বর্তমান সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত আজই কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। কংগ্রেসও মামলা করার কথা ভাবছে বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র তাপস দে। তাঁদের বক্তব্য, মোট বুথের ১০ শতাংশ আসনে যেখানে কমিশনকে পুনর্নির্বাচনের আদেশ দিতে হয়, সেখানে কী ভোট হয়েছে তা অনুমেয়।
আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) শ্রীরাম তরণীকান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানিয়ে বলেন, ‘‘আমরা সুষ্ঠু ও অবাধ পুনর্নির্বাচন করতে প্রস্তুত। রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। আরও বাহিনী আসছে।’’ ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখেই ভোট হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। বিরোধীরা কমিশনের এই সিদ্ধান্তে খুশি নয়। তারা আরও বেশি ভোট কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি তুলেছিল। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিইও বলেন, ‘‘কম-বেশি কিনা জানিনা, নির্বাচন কমিশন ১৬৮ টি ভোট কেন্দ্রে ফের ভোট নেবার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আমরা তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
এ দিকে, পশ্চিম ত্রিপুরার সিপিএম প্রার্থী শঙ্কর প্রসাদ দত্তের দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে দলীয় তরফে জানানো হয়েছে, মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে। আগামী কাল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চে শুনানির জন্য তা উল্লেখ করা হবে। রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরে নির্ভর করবে, আমরা নির্বাচনে অংশ নেব কি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE