Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাস্তব বুঝে ‘হাত’ বাড়ান, কংগ্রেসের কাছে আর্জি ইয়েচুরির

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবৃতি জারি করে প্রস্তাব দিয়েছে, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট একে অপরের জেতা আসনে প্রার্থী দেবে না।

রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের কাছে প্রকাশ্যে আহ্বান সীতারাম ইয়েচুরির।

রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের কাছে প্রকাশ্যে আহ্বান সীতারাম ইয়েচুরির।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:২৮
Share: Save:

রায়গঞ্জে পাঁচ বছর আগে মহম্মদ সেলিম দু’হাজারেরও কম ভোটে জিতেছিলেন ঠিকই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখেই রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের কাছে প্রকাশ্যে আহ্বান জানালেন সীতারাম ইয়েচুরি।

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবৃতি জারি করে প্রস্তাব দিয়েছে, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট একে অপরের জেতা আসনে প্রার্থী দেবে না। অর্থাৎ, যে চারটি আসনে এখন কংগ্রেসের সাংসদ রয়েছেন, সেখানে বামেরা প্রার্থী দেবে না। একইভাবে সিপিএমের জেতা আসন, রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস যেন প্রার্থী না দেয়।

কংগ্রেস এখনও রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী দেওয়ার দাবি থেকে সরে আসেনি।দিল্লিতে আজ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরি বলেন, ‘‘কম ভোট, বেশি ভোটের প্রশ্ন নয়। পাঁচ বছর আগে কী হয়েছিল, তার বদলে বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে হবে। আগে তো আমরা পশ্চিমবঙ্গের ৩৫টি আসন জিতেছি। তা বলে কি এখনও ৩৫টি আসন চাইব! এখন তো হাল বদলেছে।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘চতুর্মুখী লড়াইয়ের বদলে ত্রিমুখী লড়াই ভাল।’’

এই ‘বাস্তব পরিস্থিতি’ বিচার করেই শুধু বাংলা নয়, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলের সঙ্গে বোঝাপড়ায় যাচ্ছে সিপিএম। এতদিন এই নিয়ে কেরল ও আরও কিছু রাজ্য আপত্তি তুললেও ইয়েচুরির বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রবল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থনে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’

সিপিএমের বাংলারনেতারা আগেই ঠিক করেছিলেন, দল এবার আগের মতো ৩২টির বদলে ২০-২২টি আসনে লড়বে। দার্জিলিঙের মতো কিছু আসনে কোথাও কংগ্রেস, সিপিএমের সমর্থনে নির্দল কাউকে, কোথাও ‘বিশিষ্ট’দের কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে। কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া না হলে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা হয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে সিপিএম নেতাদের চিন্তা রয়েছে। কারণ চন্দ্রবাবু নায়ডু ও শরদ পওয়ায় ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছেন, জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে রাজ্যে কংগ্রেসকে সাহায্য করতে।

তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গে সিপিএমের একটি আসন নিয়ে কথা চলছে। মহারাষ্ট্রেও দিন্দোরি ও পালঘর আসন নিয়ে এনসিপি-র সঙ্গে কথা চলছে। বিহারে আরজেডি-র সমর্থনে উজিয়ারপুরে সিপিএম প্রার্থী দিতে পারে। তিনটি রাজ্যেই এই দলগুলি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে।ওড়িশায় কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়েছে, সিপিএম ভুবনেশ্বরে লোকসভা আসনে প্রার্থী দেবে। বিধানসভা ভোটে সিপিএমের জেতা আসন বন্নাই ছাড়াও কিছু আসনে প্রার্থী দেবে তারা। এই আসনগুলিতে কংগ্রেস সিপিএমকে সমর্থন করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE