অরুণ জেটলি। ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি চূড়ান্ত করতে চাইছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমার। আগামী ৮ জুলাই দিল্লিতে তাঁর দল জেডিইউয়ের বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই দীর্ঘদিনের বন্ধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে তাঁর নৈশভোজ। সেখানেই আসন নিয়ে পাকা কথা চাইছেন নীতীশ। আগামী ১২ জুলাই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে নীতীশের ‘চায়ে পে চর্চা’ ওই নৈশভোজের উপরেই নির্ভর করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজের সম্ভবনা রয়েছে ৬ জুলাই।’’ জেডিইউ সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘নীতীশজি এবং অরুণজি পুরনো বন্ধু। দু’জনের দেখা হতেই পারে। এ নিয়ে বলার কী আছে!’’
নীতীশ ঘনিষ্ঠ কে সি ত্যাগী বিষয়টি লঘু করার চেষ্টা করলেও গত কয়েক দিন ধরেই সকলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন নীতীশ। গত ২৬ জুনের পর কোনও প্রকাশ্য কর্মসূচিতে হাজির হননি। এমনকী গতকাল বাতিল করা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকও। নীতি আয়োগের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও স্থগিত করেছেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর শরীর ভাল যাচ্ছে না। সে কারণেই কাজের চাপ কম নিচ্ছেন।’’ তবে এরই ফাঁকে গত সোমবার রাতে নীতীশের দক্ষিণ হস্ত বলে পরিচিত, সংসদীয় দলের নেতা রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহের সঙ্গে বিহারের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন ভূপেন্দ্র। তবে দু’জনের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা বলতে চাননি তিনি।
নীতীশের ইদানীংকালের আচরণে স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, গত বছর জুলাইয়ে একই অবস্থান নিয়েছিলেন নীতীশ। সে সময়ে লালুপ্রসাদ এবং আরজেডির মন্ত্রীদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন। দেখা করেননি শিবানন্দ তিওয়ারি এবং শরদ যাদবের মতো নেতাদের সঙ্গেও। তারপরেই আচমকা মহাজোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। পটনার প্রবীণ সাংবাদিকদের মধ্যে চালু রসিকতাই হল, তিন দিনের বেশি নীতীশ কুমার অসুস্থ থাকলে বিহার রাজনীতিতে ‘ভূকম্পের’ সম্ভাবনা রয়েছে। এবং বিজেপি নেতৃত্বও সে সম্পর্কে অবহিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy