—ফাইল চিত্র।
প্রথমে বলেছিলেন যাবেন না। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে রবিবার সকালে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য শনিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে মমতার সঙ্গে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছেন। রবিবারের বৈঠককে উপলক্ষ করে দিল্লিতে ফেডারেল ফ্রন্টের আর এক দফা বৈঠক হয় কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠক নিয়ে গত ক’দিনে মমতার সঙ্গে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়। ইদের জন্য মমতা প্রথমে বৈঠকে যোগ দিতে চাননি। পরে চন্দ্রবাবু ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। ঠিক করেন, শনিবার দিল্লি যাবেন তিনি। মমতা, চন্দ্রবাবুর মতো আঞ্চলিক দলের মুখ্যমন্ত্রীদের পরিকল্পনা, বৈঠকে যোগ দিয়েই মোদীর সামনে তাঁরা নিজেদের রাজ্যের ক্ষোভ, দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হবেন। কারণ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের শেষ নীতি আয়োগের বৈঠক এটি। মূলত সে কারণেই সিদ্ধান্ত বদলেছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী আজ নবান্নে বলেন, ‘‘ইচ্ছে না থাকলেও যেতে হচ্ছে। কারণ এটাই সম্ভবত নীতি আয়োগের শেষ বৈঠক। অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, তাঁরা কিছু কথা বলতে চান রাজ্যের বিষয়ে। সবারটা শুনেই যাচ্ছি।’’ চন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘তফসিলি জাতি ও জনজাতি, সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে নিরাপত্তার অভাব, চাষি, ব্যবসায়ী, দিনমজুরদের সমস্যা, চাকরির অভাব, ফসল বিমার মতো সমস্যাগুলো তুলে ধরব।’’
প্রথমে এই বৈঠক ১৬ জুন হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন ইদ বলে মমতা ও অন্য মুখ্যমন্ত্রীরা আপত্তি তোলেন। তাঁদের আপত্তিতে বৈঠক পিছিয়ে ১৭ জুন সকালে করা হয়। কিন্তু তা নিয়েও আপত্তি তোলেন চন্দ্রবাবু। তবে সেই সূচি আর বদলানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও নীতি আয়োগের কর্তারা চাইছিলেন, মমতা, চন্দ্রবাবু, চন্দ্রশেখররা বৈঠকে যোগ দিন। কারণ শুধু বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা হাজির হলে বৈঠকের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠত।
গত বছরই নীতি আয়োগের তৃতীয় বৈঠকে মমতা যোগ দেননি। সম্প্রতি অবশ্য তিনি মোদীর সভাপতিত্বে মহাত্মা গাঁধীর সার্ধশতবর্ষ উদযাপন কমিটির বৈঠকে যোগ দেন। যার পরে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ‘গোপন আঁতাঁত’ এবং ফেডারাল ফ্রন্টের উদ্যোগ আসলে বিজেপি-বিরোধী জোটে ফাটল ধরানোর চেষ্টা কি না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রচার শুরু করেছেন বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy