রাহুল ওয়ালকে বোধি।
মহারাষ্ট্রের রামদেগি জঙ্গল। সকালবেলায় গাছের নিচে ধ্যানে মগ্ন এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। হঠাৎই তাঁর দিকে ধেয়ে আসে ক্ষুধার্ত এক চিতা বাঘ।
হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই মৃত্যু হয় ৩৫ বছর বয়সী ওই সন্ন্যাসীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই সন্ন্যাসীর নাম রাহুল ওয়ালকে বোধি। সে সময়ে জঙ্গলে তপস্যা করছিলেন আরও দুই সন্ন্যাসী। তাঁদের অবশ্য চিতাবাঘটি আক্রমণ করেনি। আর তাঁরাই রাহুল ওয়ালকে বোধির খোঁজ শুরু করেন।
মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, আক্রমণের পর তাঁর দেহও টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ওই চিতাবাঘ। কৃষ্ণা তিওয়ারি নামে মহারাষ্ট্র পুলিশের সিনিয়র এক কর্মীর কথায়, ‘‘রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই সন্ন্যাসীর দেহ। একটা বিষয় পরিষ্কার যে, চিতাবাঘটি ওই সন্ন্যাসীর দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।’’
আরও পড়ুন: সবাই ভেবেছিলেন কুমীরে খেয়েছে তাঁকে, খোঁজ মিলল ১৮ বছর পর
রামদেগি জঙ্গলের অবস্থান মুম্বই থেকে ৮২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে পাঁর বার চিতাবাঘের আক্রমণের খবর সামনে এল। পুলিশের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, এক বছর ধরে ওই জঙ্গলে তপস্যা করছিলেন ওই তিন সন্ন্যাসী। বনদফতর এবং পুলিশ বিভাগের কর্মীরা বারণ করা সত্ত্বেও জঙ্গলের ভিতরে বহু দূরে গিয়ে তপস্যা করছিলেন তাঁরা।
জঙ্গলের ঠিক পাশেই দোকান রয়েছে সন্দীপ অর্জুন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দার। গত সোমবারই চিতা বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় সন্দীপ অর্জুনের। যদিও ওই একই চিতার হানায় দ’জনেরই মৃত্যু হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও জানানো হয়নি পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন: ‘হায়দার’ ছবির সেই কিশোর অভিনেতার মৃত্যু পুলিশের এনকাউন্টারে
পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে এ দেশে চিতাবাঘের সংখ্যা ১৪০০০ এর কাছাকাছি। ২০১৭ সালে মৃত্যু হয় ৪৩১টা চিতাবাঘের। আর তাদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে পাচারকারীদের হানায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিতাবাঘের হানায় প্রতি বছরে মৃত্যু হয় ১০০ জন মানুষের।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy