ছবি: সংগৃহীত।
নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী নিয়ে উত্তর-পূর্ব জুড়ে প্রতিবাদ-আন্দোলন চলাকালীনই মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি এস আর সেন প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা হিন্দুদের ভারতে আশ্রয় ও নাগরিকত্ব প্রদানের পক্ষে রায় দিয়ে বলেছিলেন, ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত ছিল। বিতর্কিত সেই রায় খারিজ করে দিলেন মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মহম্মদ ইয়াকুব মীর।
আমন রানা নামে এক ব্যক্তি মেঘালয় সরকারের কাছ থেকে আবাসিক শংসাপত্র না পেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই গত বছর ডিসেম্বরে বিচারপতি সেন রায়ে লিখেছিলেন, দেশভাগের দোষ শরণার্থীদের নয়। তাই পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা সে দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতে যে কোনও সময়ে, কোনও নথিপত্র ও ভিত্তিবর্ষের বেড়া ছাড়াই বিনা প্রশ্নে নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত। তীব্র সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে বিচারপতি সেন ব্যাখ্যা দেন, তিনি ধর্মনিরপেক্ষতার বিপক্ষে নন। তাঁর রায়ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। তিনি ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলেছেন।
সেই বিতর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন জমা পড়ে। আবেদন জানায় রাজ্য সরকারও। ইতিমধ্যে বিচারপতি সেন অবসরও নেন। গত কাল প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, আমন রানার আবেদেনের সঙ্গে বিচারপতি সেনের রায়ের কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমন রানার নাগরিকত্ব শংসাপত্রের ক্ষেত্রে জন্মের শংসাপত্র নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু বিচারপতি সেন সেই সোজা মামলাকে পাশ কাটিয়ে তাঁর রায়ে আইন ও সংবিধান বহির্ভুত কথা বলেন। তাই ওই রায়কে অবজ্ঞা ও খারিজ করা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy