Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National news

১৮ বছর হতে বাকি চারদিন, তাই বাবার মার্সিডিজে পথচারীর প্রাণ নিয়েও রেহাই ছেলের

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ওই অভিযুক্তকে নাবালক গণ্য করে শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দিয়ে রেহাই দিলেন বিচারপতি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:১০
Share: Save:

প্রায় বছর চারেক আগে বড়লোক বাবার মার্সিডিজ গাড়িটা এক পথচারীর উপর চালিয়ে দিয়েছিল সে। ১৫ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান ওই ব্যক্তি। সেদিনের গাড়িচালকের সাবালক হতে বাকি ছিল চারটে দিন। দুর্ঘটনার পর ওই ব্যক্তির কথা না ভেবে, তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে না এসে বরং জোরে গাড়ি চালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল সে দিনের সেই নাবালক। অথচ যথেষ্ট ঘৃণ্য অপরাধ করেও গারদের পিছনের একটা রাতও কাটাতে হল না তাকে। কারণ, দুর্ঘটনার দিন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৩৬১ দিন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ওই অভিযুক্তকে নাবালক গণ্য করে শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দিয়ে রেহাই দিলেন বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি দীপক গুপ্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, “আমরা যেমন আইনে কিছু যুক্ত করতে পারি না, তেমন মুছে দিতেও পারি না। যখন আমাদের সামনে দুরকম ব্যাখ্যা এসে হাজির হয়, সে ক্ষেত্রে নাবালকের উপকারের দিকটিই আগে বিচার করা হয়।”

জুভেনাইল জাস্টিস আইনে কোনও জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে নাবালককে সর্বনিম্ন সাত বছর জেলে কাটাতে হয়। এই দুর্ঘটনাটা পর্যবেক্ষণ করে আগেই জুভেনাইল বোর্ড জানিয়েছিল, অভিযুক্তকে এ ক্ষেত্রে একজন সাবালক হিসাবেই গণ্য করা উচিত। কারণ দুর্ঘটনার পর সে খুব ভাল করেই বুঝেছিল, কতটা খারাপ কাজ করে ফেলেছে. কী ভাবে পালিয়ে বাঁচতে হয়, সেটাও খুব ভাল করে রপ্ত করেছিল সে. কিন্তু জুভেনাইল বোর্ডের এই ব্যাখ্যা সে সময় দিল্লি হাইকোর্ট মানেনি। দীর্ঘ দিন মামলা চলার পর দিল্লি হাইকোর্ট অভিযুক্তকে নাবালক হিসাবেই গণ্য করার রায় দিয়েছিল।

আরও পড়ুন: ‘বন্‌ধে গুন্ডামি’, কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যাচ্ছেন না মমতা

তবে থেমে থাকেননি মৃতের পরিবার. দুর্ঘটনায় মৃত ৩২ বছরের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ সিদ্ধার্থ শর্মার বোন দিল্লি হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।

আরও পড়ুন: আজ সারাদিনই দফায় দফায় বৃষ্টি, কাল থেকে পড়বে ঠান্ডা

বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় দেন বিচারপতি দীপক গুপ্তের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট এই দুর্ঘটনাকে ‘জঘন্য’অপরাধ হিসাবে মানতে নারাজ। তাই গারদের পিছনে তাকে একটা দিনও কাটাতে হবে না। উপরন্তু তাকে নাবালক হিসাবে গণ্য করে পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতির বেঞ্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE