হাইলাকান্দিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। ছবি:অমিত দাস
নোট বাতিলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধর্নায় বসলেন হাইলাকান্দির কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ হল পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ে।
আজ হাইলাকান্দির শহিদ স্মারকস্থলে জেলা কংগ্রেস সমর্থকরা সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ধর্নায় বসেন। নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তাঁরা। জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র প্রকাশচাঁদ সুরানা, সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন বড়লস্কর বলেন— ‘পরিকল্পনা ছাড়াই নোট-বাতিল করায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৭০ জন মারা গিয়েছেন।’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি অশোক দত্তগুপ্ত, হিলালউদ্দিন লস্কর, সহ-সভাপতি ইসাক আলি বড়ভুঁইঞা অভিযোগ করেন, নোট-বাতিলে দেশের সাধারণ মানুষ অর্থসঙ্কটের মুখে পড়েছেন।
ডিমা হাসাওয়েও জেলা কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা হাফলংয়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন। ‘নরেন্দ্র মোদীর তানাশাহি চলবে না’ বলে স্লোগান ওঠে। ধর্নায় হাজির ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল লাংথাসা, সাধারণ সম্পাদক তুলসীপ্রসাদ উপাধ্যায়, রুদ্রজিৎ লাইসরাম, তুষারকান্তি দেব, হামজানন লাংথাসা, কালিজয় সেংইয়ুং। নির্মল লাংথাসা অভিযোগ করেন, নোট বাতিল নিয়ে সংসদে বিবৃতি না দিতে কার্যত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তে ডিমা হাসাও-সহ দেশের সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। শ্রমিক, কৃষক ব্যবসায়ী সমস্যায়। বাজারে ব্যবসা স্তব্ধ। ব্যাঙ্কে খুচরো টাকা মিলছে না। ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে বাজারে গিয়ে জিনিস কেনা যাচ্ছে না। নির্মলবাবু বলেন, ‘‘কালো টাকার কারবারিদের কংগ্রেস সমর্থন করে না। কিন্তু কালো টাকা ফিরিয়ে আনার বদলে নোট-বাতিল করার পদক্ষেপে সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।’’ কংগ্রেস নেতা হামজানন লাংথাসা বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী এ দেশে হিটলারি রাজত্ব চালাচ্ছেন। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে লেনদেনের কথা বলছেন। কিন্তু ডিমা হাসাওয়ের মতো জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সে সব জিনিস কখনও চোখেই দেখেননি। দেশে এমন মানুষের সংখ্যা অগণিত। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কথা চিন্তাও করেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy