—ফাইল চিত্র।
শুধু একটি শব্দ বলেন রাহুল গাঁধী: ‘চৌকিদার’। দ্বিগুণ উৎসাহে তা জনতার থেকে ফিরে আসে ‘চোর হ্যায়’ বলে। গ্রামের লোকেরা ‘রাফাল’ বুঝুন বা না-বুঝুন, এই স্লোগান এখন মুখে-মুখে। একে মোকাবিলা করতে নরেন্দ্র মোদীর ভোটের স্লোগান কী হবে, তা নিয়েই এখন হিমশিম খাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
খোদ অমিত শাহ লোকসভা ভোটের জন্য স্লোগান ঘোষণা করেছিলেন, ‘অব কী বার, ফির মোদী সরকার’। কিন্তু সেটি দানা বাঁধেনি সে ভাবে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, কোথায় গেল ‘অচ্ছে দিন’ স্লোগান? ‘আব কী বার, মোদী সরকার’ স্লোগান দিয়ে আসা সরকার তো ব্যর্থ! এর পর অনুরাগ ঠাকুরের মতো কিছু উৎসাহী নেতা স্লোগান তৈরি করেন, ‘আব কী বার, চারশো পার’। কিন্তু খোদ বিজেপি নেতারাই তা কবুল করেননি। স্পষ্ট বুঝেছেন, একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। নতুন একটি স্লোগান আজ খোদ নরেন্দ্র মোদীই নিয়ে এলেন: ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। বার্তা এক জোড়া। এক, মোদী আছে বলেই সম্ভব হয়েছে। দুই, মোদী থাকলে, তবেই সম্ভব হবে।
রাজস্থানে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এই স্লোগানটির ‘শ্রীগণেশ’ করেন তিনি। এক বার, দু’বার নয়, পরপর সাত বার নিজের মুখে বলেন নিজের নামে স্লোগানটি। একটি একটি করে তাঁর সরকারের ‘সাফল্য’ বর্ণনা করছেন আর নিজেই বলছেন, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। বিজেপি নেতারা বলছেন, এই স্লোগানেও জল মাপার কাজটি চলছে। আগের স্লোগানগুলি জনমানসে দাগ কাটেনি। এটি যদি দাগ কাটতে পারে, তা হলে একেই প্রচারে বেশি করে তুলে ধরা হবে, লোকের মুখে মুখে চালু করার চেষ্টা হবে। মোদীর এই স্লোগানের ‘প্রিমিয়ার’-এ ফেরত এসেছে ব্যঙ্গ। দিল্লিতে কংগ্রেস অনুরণন তুলেছে, ‘‘মোদী আছে, তাই রাফাল সম্ভব, বেকারত্ব সম্ভব, কৃষকদের দুর্দশা সম্ভব, দুর্নীতি সম্ভব, নোটবন্দি সম্ভব, নীরব মোদী সম্ভব, পুলওয়ামার পর জঙ্গলে ঘোরা সম্ভব।’’
আরও পড়ুন: স্থায়ী বাসিন্দা নিয়ে বিরোধে উত্তপ্ত ইটানগর, জারি কার্ফু
‘‘মোদী আছে বলেই...’’ স্লোগান নিয়ে বিজেপিকে নতুন করে ভাবতে হবে বলেই মনে করছেন কংগ্রেসের নেতারা। কারণ মোদী, অমিত শাহরা এটা যত বেশি তুলে ধরবে ততই
এই জমানার যাবতীয় ব্যর্থতা ও দুর্নীতির তালিকা তুলে ধরার সুযোগ পাবে কংগ্রেস।
রাহুল গাঁধীর দল অবশ্য এখনও নিজেদের স্লোগান ঠিক করেনি। রাহুলের নির্দেশে কংগ্রেস এখন অভিনব পন্থা নিয়েছে। দেশের ৫৪৩টি কেন্দ্রে নিজস্ব স্লোগান পাঠানোর জন্য শক্তি অ্যাপের মাধ্যমে ৬০ লক্ষের বেশি কর্মীর কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রের
চাহিদা অনুসারে তৈরি হবে আলাদা স্লোগান। সেই এলাকার নিজস্ব ভাষায়, নিজস্ব ছন্দে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy