ছবি পিটিআই।
দেশের সব ভাষাভাষী মানুষের উপরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা সঙ্ঘের বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই আজ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ভাষা নিয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
এ দিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় এলাকার বাসিন্দা ‘রঙ্গ’ সম্প্রদায়ের কাহিনি শোনান মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘পিথোরাগড়ের ধারচুলা এলাকার একটি খবর সম্প্রতি আমার চোখে পড়েছে। তা থেকে বুঝতে পেরেছি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ কী ভাবে তাঁদের ভাষাকে রক্ষা করার জন্য নানা নতুন পথ বেছে নিচ্ছেন।’’ মোদী জানান, পিথোরাগড়ের রঙ্গ সম্প্রদায়ের ভাষার নাম রঙ্গলো। এখন আর ওই সম্প্রদায়ের মাত্র ১০ হাজার মানুষ রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘রঙ্গ সম্প্রদায়ের সদস্যেরা আবিষ্কার করলেন যে রঙ্গলো ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। তার পরেই তাঁরা ওই ভাষাকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছেন। ৮৪ বছর বয়সি দিওয়ান সিংহ থেকে ২২ বছর বয়সি বৈশালী গারবিয়াল, সকলেই উদ্যোগী হন। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। তৈরি করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।’’
পাশাপাশি এ দিনের অনুষ্ঠানে তামিল কবি ভারথিয়ারের লেখা থেকে ফের উদ্ধৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতিকদের মতে, হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগের কৌশলে মোকাবিলা করতে চেয়েছেন মোদী। উত্তরাখণ্ডের এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কথ্য ভাষার কথা উল্লেখ করে ও তামিল কবির উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি সব ভাষাকেই রক্ষা করার পক্ষে।
রাজনীতিকদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী এই অবস্থান নিলেও সঙ্ঘ তাদের হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল থেকে সরে এসেছে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। বরং নানা ক্ষেত্রে হিন্দিকে চাপিয়ে সংবাদ সংস্থাদেওয়ার চেষ্টা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy