প্রতীকী ছবি।
ফের গণধর্ষণের ঘটনা। এ বার রাজধানী দিল্লি লাগোয়া গুরুগ্রামে।
গণধর্ষিতা হওয়ার পর জ্ঞান ফিরলে মা, বাবাকে সব কিছু জানানোর পর ভয়ে আত্মঘাতী হন দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ‘যৌন নিগ্রহের হাত থেকে শিশুদের নিরাপত্তা (পক্সো)’ আইনে।
পুলিশ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে গুরুগ্রামের কাছে নুহ্তে।
পুলিশ কর্তা বীরেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এক মৃত আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলেন ওই কিশোরীর মা, বাবা। ওই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন কিশোরী। তারই সুযোগ নিয়ে ৮ জন দুষ্কৃতী এসে ওই কিশোরীকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায়। সেখানে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। তার পর কিশোরীকে রাস্তার ধারে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই এলাকা থেকে একটি পরিত্যক্ত মোটরবাইক উদ্ধার করেছে। পুলিশের অনুমান, ওই বাইকে চেপেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা।
কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ কিশোরীর মা, বাবা বাড়িতে ফিরে দেখেন, তাঁদের মেয়ে নেই। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন কিশোরীর খোঁজে। কিছুটা এগিয়ে রাস্তার ধারে তাঁরা ওই কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
বুধবার সকালে জ্ঞান ফেরার পর কিশোরী সব ঘটনা খুলে বলেন তাঁর মা, বাবাকে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনের নামও জানান তিনি তাঁর মাকে।
প্রতিবেশীরা বলছেন, মা, বাবার কাছে ৪ অভিযুক্তের নাম বলে দেওয়ার পরেই আরও ভয় পেয়ে যান ওই কিশোরী। কারণ, ওই ৮ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ভয় দেখিয়েছিল, কিছু ফাঁস হয়ে গেলে বড় বিপদে পড়তে হবে। ওই দুষ্কৃতীদের অনেকেই ‘প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য’ বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। ফলে, মা, বাবার কাছে ৪ দুষ্কৃতীর নাম বলে দেওয়ার পরেই বিকেলে বাথরুমে ঢুকে আত্মঘাতী হন কিশোরী।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ওই ঘটনার তদন্তে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। এখনও পর্যন্ত কিশোরীর দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি। এফআইআরে নাম থাকলেও, কোনও অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
বুধবারই গুরুগ্রামের সোহনা রোডের কাছে এক অটো ড্রাউভার সহ ৫ জন একটি কিশোরীকে গণধর্ষণ করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy