নীতীশ কুমার ও অমিত শাহ। ছবি- সংগৃহীত।
আসন সমঝোতার আলোচনায় বসে এতটাই দর হেঁকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী সংযুক্ত জনতা দল নেতা নীতীশ কুমার যে, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে এখন আসন ভাগ বাঁটোয়ারার জন্য রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি এবং আরএলএসপি নেতা উপেন্দ্র কুশাওয়ার সঙ্গেও কথা বলার কথা ভাবতে হচ্ছে।
নীতীশ কুমার চাইছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৭টি দেওয়া হোক তাঁর সংযুক্ত জনতা দলকে। বিজেপি মনে করছে, নীতীশের দাবিটা বড্ড বেশি। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিহারের ৩৮টি আসনে লড়ে মাত্র দু’টি পেয়েছিল নীতীশের দল।
বুধবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হয় নীতীশের। সেখানে ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও। নীতীশ ওই দর হাঁকার পর তাঁকে বোঝাতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নীতীশ জেটলির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
বিজেপি নেতৃত্ব খুব বেশি হলে নীতীশকে ১২টি আসন ছাড়তে চাইছেন। কিন্তু নীতীশ ১৫-র নীচে তাঁর দাবি নামিয়ে আনবেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন না।
আরও পড়ুন- ছত্তীসগঢ়ে অজিত জোগীর সঙ্গে হাত মেলালেন মায়াবতী
আরও পড়ুন- কৌশল ছেড়ে রাজনীতির মাঠে প্রশান্ত
তবে জেটলি বোঝাতে পারলেন কি না নীতীশকে, সেই ভরসায় বসে থাকতে রাজি নন বিজেপি সভাপতি। তাই তিনিও আসন সমঝোতা নিয়ে রামবিলাস পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টি এবং উপেন্দ্র কুশাওয়ার দল আরএলএসপি-র সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলতে শুরু করতে চলেছেন। তাতে থাকবেন প্রবীণ বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র যাদবও।
নীতীশকে ছেড়ে পাসোয়ান-কুশাওয়ায় ভরসা রাখলে বিজেপির যে ক্ষতি হবে না, ইতিমধ্যেই তার ইঙ্গিত মিলেছে কুশাওয়ার মন্তব্যে। আরএলএসপি নেতা কুশাওয়া বলেছেন, ‘‘যাদবদের দুধ আর কুশাওয়াদের চাল মেশালে কিন্তু ক্ষীরটা খুব ভাল হয়!’’
পাসোয়ান-কুশাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পরেই তাই বিহারে আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন বিজেপি সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy