পলাতক জঙ্গি নাভিদ জাট। ছবি: পিটিআই।
হাসপাতাল চত্বরেই চলল গুলি, পুলিশ হেফাজত থেকে পালাল জঙ্গি, মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর, জখম আরও এক। মঙ্গলবার সকালে শ্রীনগরে এই ঘটনা ঘটেছে। পলাতক জঙ্গির খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে শহর জুড়ে।
নাভিদ জাট নামে যে জঙ্গি পালিয়েছে, সে পাকিস্তানি নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে রাইনাবাড়ি জেল থেকে ৬ বন্দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্রীনগরের শ্রী মহারাজা হরি সিংহ হাসপাতালে। সেখানেই এক পুলিশকর্মীর বন্দুক ছিনিয়ে নেয় নাভিদ এবং গুলি চালায়। নাভিদের গুলিতে এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়, জখম হন আরও এক জন। হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় সে।নাভিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে আগ্নেয়াস্ত্রটি নাভিদ ছিনিয়ে নিয়েছিল, সেটি সঙ্গে নিয়েই সে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে নাভিদ হাসপাতাল চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে, না কি হাসপাতালেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছে, সে বিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এখনও নিশ্চিত নয়। তাই শ্রীনগর শহরের অন্যান্য প্রান্তের মতো হাসপাতালেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
হাসপাতালটিকে সব দিক থেকে ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে যে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের জন্য আপৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
মৃত পুলিশকর্মীর দেহ ঘিরে চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মীরা। ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন: ছ’দিনের মাথায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত ভারতীয় তৈলবাহী জাহাজ
২০১৪ সালে ধরা পড়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গি নাভিদ। ২৪ বছরের এই যুবকের নাম জড়িয়ে রয়েছে অনেকগুলি নাশকতার সঙ্গে। পুলওয়ামায় আদালত চত্বরের কাছে জঙ্গি হামলায় ৭ পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় নাভিদ সক্রিয় ছিল বলে পুলিশের দাবি। ভোটকর্মীদের উপর হামলার একটি ঘটনায়ও নাভিদের নাম উঠেছিল। সেই হামলায় এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ছেলেমেয়েকে পড়ায় মন দিতে বলেছিলেন রোশন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আবু হানজুল্লা নামেও পরিচিত নাভিদ। উপত্যকায় লস্কর-ই-তৈবা-কে যে নেতৃত্ব দিত, সেই আবু কাসিমের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল সে। দাবি পুলিশের। ২০১৫ সালে অবশ্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আবু কাসিমের মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy