ভারতে ঢুকে তিন সেনা জওয়ানকে খুন করল পাক সেনা। —ফাইল ছবি
উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের পাক বর্বরতা। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে তিন সেনা জওয়ানকে গুলি করে খুন করল পাকিস্তান বর্ডার অ্যাকশন টিমের (ব্যাট) সদস্যরা। আহত আরও এক জন। পাল্টা আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ব্যাট-এর দুই সদস্যেরও। তাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। রবিবার দুপুরে জম্মুর রাজৌরি সেক্টরের লালিয়ালি আউটপোস্টের এই ঘটনা ঘিরে সীমান্তে ফের চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
সেনা সূত্রে খবর, রবিবার নিয়ন্ত্রণরেখার একেবারে কাছে লালিয়াল পোস্টে প্রহরায় ছিলেন চার সেনা জওয়ান। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৫০ মিটার ভিতরে ঢুকে আসে ব্যাটের কয়েক জন সদস্য। আচমকাই তারা লালিয়াল পোস্টে গুলি চালাতে শুরু করে। ভারতীয় জওয়ানরাও পাল্টা জবাব দেয়।
গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনার হাবিলদার কৌশল কুমার, ল্যান্সনায়েক রনজিৎ সিংহ, এবং রাইফেলম্যান রজত কুমার বাসানের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন রাইফেলম্যান রাকেশ কুমার। তার অবস্থা সঙ্কটজনক বলে সেনা সূত্রে খবর। অন্য দিকে ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে অনুপ্রবেশকারী ব্যাটের দুই সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। পরে অতিরিক্ত বাহিনী গিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে ভারতীয় সেনা। ব্যাটের দুই সদস্যের মৃতদেহ এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুত্ খরচ কমাতে কৃত্রিম চাঁদ বানাচ্ছে চিন!
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কাজ করে পাক সেনার বিভিন্ন বাহিনীর মিলিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত ব্যাট। কিন্তু আদপে এই বাহিনী পাক সেনা ও জঙ্গিদের মিলিত গোষ্ঠী বলেই মনে করে ভারত। পাশাপাশি নয়াদিল্লির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণরেখায় এই বাহিনীই ভারতীয় সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের উপর সবচেয়ে বেশি হামলা চালায়। মূলত খুন করে মাথা কেটে নেওয়ার জন্যই এই বাহিনী কুখ্যাত।
আরও পড়ুন: গণধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে নগ্ন অবস্থাতেই তিন তলা থেকে ঝাঁপ!
গত ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মুর রামগড় এলাকার আর এস পুরা সেক্টরে এক বিএসএফ জওয়ানকে হত্যা করে তাঁর মাথা কেটে নিয়ে পালায় পাক বাহিনী। ব্যাট-ই ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে মনে করে ভারতীয় সেনার। ওই ঘটনার জেরে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার ফাঁকে ভারত-পাক বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক বাতিল করে নয়াদিল্লি। ফলে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ তিক্ততা বাড়ে। এই ঘটনার জেরে সম্পর্কের শীতলতা আরও বাড়বে বলেই মত কূটনৈতিক মহলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy