ভূত-সন্ধানীর এমন ভাবে মৃত্যু অবাক করে দিয়েছে সকলকে!— ফাইল চিত্র।
ভূতপ্রেত নিয়ে চর্চা করতেন। সুনামও কুড়িয়েছেন। অথচ সেই তাঁরই কি না ‘ভুতুড়ে’ ভাবে মৃত্যু হল!
৩২ বছরের গৌরব তিওয়ারি। দিল্লির বাসিন্দা গৌরব পেশায় কমার্শিয়াল পাইলট ছিলেন। কিন্তু, হঠাত্ই এক দিন সব ছেড়েছুড়ে ভূতপ্রেত চর্চায় মেতে উঠেছিলেন। তৈরি করেছিলেন ‘ইন্ডিয়ান প্যারানরম্যাল সোসাইটি’। ২০০৯-এ তৈরি সেই সংস্থার সিইও-র পদও সামলাতেন। সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ মানুষের মধ্যে ভূতপ্রেত নিয়ে অযথা ভয়ভীতি দূর করা। কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না। এই কাজ করতে প্রসিদ্ধ সব ভুতুড়ে বাড়িতে কন্ডাকটেড ট্যুরের আয়োজনও করতে হত গৌরবের ওই সংস্থাকে।
গত বৃহস্পতিবার দ্বারকায় গৌরবের ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বাবা-মা-স্ত্রীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন তিনি। পরিবারের লোকেদের দাবি, ভূত-সন্ধানী গৌরব রীতিমতো সুস্থ এবং স্বাভাবিক ছিলেন। আত্মহত্যার কোনও কারণই ছিল না। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই দিন সকাল ১১টা নাগাদ হঠাত্ই বাথরুম থেকে গৌরবের অস্বাভাবিক গলায় চিত্কার শোনা যায়। এর পরেই দরজা ভেঙে বাথরুমে ঢুকে তাঁরা দেখেন, মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন গৌরব। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁর ঘাড়ের ঠিক নীচে সরু একটা কালো দাগ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধের কথা বলা হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই গৌরব নাকি তাঁর স্ত্রীকে বলতেন, একটা অশুভ শক্তি তাঁকে পিছন থেকে টেনে ধরছে। তিনি সর্বশক্তি দিয়েও তা রুখতে পারছেন না। কিন্তু, গৌরবের কথা তাঁর স্ত্রী উড়িয়ে দিয়েছেন। ভেবেছেন, কাজের চাপেই তিনি ওই সব বলছেন।
গত সাত বছরে গৌরব এ দেশের প্রায় ছয় হাজার ভৌতিক বাড়িতে গিয়েছেন। ভূতপ্রেত নিয়ে চর্চাও করেছেন। সেই সব বাড়িতে আদৌ ভূত আছে কি না, তা নিয়ে ‘তদন্ত’ও করেছেন। সেই ভূত-সন্ধানীর এমন ভাবে মৃত্যু অবাক করে দিয়েছে সকলকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy