ফাইল চিত্র।
অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি। পুজো কমিটির তরফে আগের দিনেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মন্ত্র। সেই সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে এসেছে তালিকা—ফুল, বেলপাতা ও কোন সামগ্রী রাখতে হবে হাতের কাছে। এর পর কোথাও ফেসবুক লাইভ দেখে, কোথাও মাইকে গলা মিলিয়েই অষ্টমীর অঞ্জলিপর্ব সারলেন শিলংয়ের বাঙালিরা।
কোভিডবর্ষে মেঘালয়ে পুজো না-কমলেও কমেছে প্রতিমা। শিলংয়ে প্রায় ৭০টি দুর্গাপুজো হয়, রাজ্য জুড়ে সংখ্যাটি ২৫৩। এ বছর পুজো হচ্ছে বটে কিন্তু পোলো মাতৃমন্দির, উম্পলিং আরআর কলোনির মতো মাত্র ২৩টি মণ্ডপে প্রতিমা রয়েছে। বাকিরা পুজো সারছেন পট, ঘট বা ছবি দিয়েই। এমনকী এই তালিকায় লাইটুমরার রামকৃষ্ণ মিশনও। কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক জে এল দাস জানান, এ বছর রিলবং, জেল রোডের মতো হাতেগোনা পুজো বাদে বাকিরা রেকর্ড করা ঢাকের শব্দে কাজ সারছে। কারণ, বাইরের রাজ্য থেকে ঢাকি আনলে আগে ১০ দিনের জন্য কোয়রান্টিনে রাখা ও অন্যান্য নিয়ম পালনে ঝক্কি রয়েছে। পুজোয় সরকারি নির্দেশ মাথায় রেখে অনেক পুজোই ই-পুজো, ই-অঞ্জলির ব্যবস্থা রেখেছে। ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে পুজোর সব উপাচারের ভিডিয়ো সম্প্রচার হয়েছে। অনলাইনেই চলেছে তিন দিনের অঞ্জলি। বাঙালিপাড়ার আকর্ষণ পুজোর খিচুড়িভোগ এ বার উধাও। বাচ্চাদের খেলাধুলোও চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন: বিহারে নেতাদের করোনা, চিন্তায় বিজেপি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy