Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
National News

সিএএ সমর্থন করুন, ক্ষোভের আঁচ সামলাতে এ বার ময়দানে মোদী

এ বার প্রধানমন্ত্রীর হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:২৩
Share: Save:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাশের সময় তিনি সংসদে ছিলেন না। পাশের পরে অমিত শাহ এবং সাংসদদের ধন্যবাদ জানানো ছাড়া তেমন সক্রিয়তা দেখাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে শেষ পর্যন্ত রামলীলা ময়দানে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তার পরেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বহু ধোঁয়াশা।

এমন পরিস্থিতিতে ফের ময়দানে নামলেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে এই আইনকে সমর্থনের আর্জি জানালেন টুইটারে। সাধুসন্তদের বার্তা শেয়ার করে মন জয়ের চেষ্টা করলেন দেশবাসীর। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা যদিও মনে করছেন, সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে সহজে যে ড্যামেজ কন্ট্রোল সম্ভব নয়, সেটা বুঝেই এ বার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি ‘#ইন্ডিয়াসাপোর্টসিএএ’ দিয়ে সমর্থনের আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘এই আইন সমর্থন করুন, কারণ এটা অত্যাচারিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।’’ একই সঙ্গে নমো অ্যাপে গিয়ে সিএএ সংক্রান্ত ভিডিয়ো, খবর ও অন্যান্য সব কিছু কী ভাবে জানা যাবে, তাও জানিয়েছেন তিনি। আবার অন্য একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে সদগুরু যাজ্ঞী বাসুদেবের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ ও পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু সমালোচকরা মনে করেন, এ ভাবে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া সংবিধানের সমানাধিকারের বিরোধী। তা ছাড়া আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সিংহভাগ এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ। নাগরিকত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা।

বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, নয়া এই নাগরিকত্ব আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। বরং বিশাল সংখ্যার শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিতে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। বিজেপি তথা কেন্দ্রের অভিযোগ, কংগ্রেস-সহ কিছু বিরোধী দলের ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য প্রচার করার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দেশ জোড়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আঁচ কিছুটা কমলেও পুরোপুরি নিভে গিয়েছে এমন কথা বলা যাবে না। বরং বহু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও বিভ্রান্তি রয়েছে। সেই সব কাটাতেই সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi CAA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE