পোস্ট পেড মোবাইল পরিষেবা সক্রিয় হতে চলেছে কাশ্মীরে। ফাইল চিত্র
স্বাভাবিক হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরের মোবাইল পরিষেবা। আগামী সোমবার দুপুর থেকেই উপত্যকার সর্বত্র মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হবে বলে শনিবার জানিয়ে দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রোহিত কনসাল। তবে, আপাতত পোস্ট পেড গ্রাহকদেরই মোবাইল পরিষেবা চালু হবে। প্রি পেড গ্রাহকদের পরিষেবা কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এ দিন রোহিত একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘উপত্যকার ১০টি জেলায় আগামী সোমবার দুপুর ১২টা থেকে মোবাইল পরিষেবা চালু হবে। যে কোনও সার্ভিস প্রোভাইডরের মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করবে উপত্যকায়।’’ ওই বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, গত ১৬ অগস্ট থেকেই সরকার ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা তোলার কাজ চালিয়ে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। এই মুহূর্তে উপত্যকার ৯৯ শতাংশ জায়গাতেই কোনও বিধিনিষেধই নেই।
সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, উপত্যকায় মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ। তার মধ্যে পোস্ট পেড ব্যবহারকারী রয়েছেন ৪০ লক্ষ। তা হলে বাকি ৩০ লক্ষ মোবাইল ব্যবহারকারী কবে থেকে নিজেদের ব্যবহার করতে পারবেন? জবাবে রোহিত কনসাল বলেন, ‘‘সুরক্ষার দিকটা মাথায় রেখেই এগোচ্ছে প্রশাসন। ধীরে ধীরে প্রি পেড পরিষেবাও চালু করে দেওয়া হবে।’’ রোহিতের মতে, জম্মু কাশ্মীরে এখনও লস্কর-ই-তৈবা বা হিজাবুল জঙ্গিরা সক্রিয়। কাজেই হিংসা ও মৃত্যু আটকাতেই সরকার ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা তোলার পথ বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন:শি আসার আগে প্লাস্টিক কুড়িয়ে সমুদ্রসৈকত সাফ করলেন মোদী
আরও পড়ুন:এই ভারতীয় রাজার কাছে ইউরোপীয় সঙ্গীত জগৎ ঋণী, কেন জানেন?
গত ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া এবং কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার আগে থেকেই কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরকে। ল্যান্ড ফোন, মোবাইল, কেবল পরিষেবা বন্ধ করে গোটা উপত্যকায় জারি হয় বিধিনিষেধ। ফলে কাশ্মীর ছিল দেশের বাকি অংশ থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। গত দু’-তিন সপ্তাহ ধরে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে উপত্যকা। তার মধ্যেই গত সপ্তাহে ঘোষণা হয়েছে নির্বাচন। মুক্তি পেয়েছেন জম্মুর রাজনৈতিক নেতারা। প্রায় দু’মাস আটক থাকার পর অবশেষে দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) সভাপতি ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা। কাশ্মীরি নেতাদের মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কানসালের বক্তব্য, ‘‘এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। কাশ্মীরের নাগরিক জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy