ইতিমধ্যেই বিপদমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে দিল্লির বায়ুদূষণ। মাঝে কালকের দিনটির অপেক্ষা। পরিস্থিতি আর সামান্য খারাপ হলেই দিল্লিতে ১ নভেম্বর থেকে বেসরকারি গাড়ি বন্ধের বিষয়ে ভাবছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হওয়া ‘পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ’। তাতে দিওয়ালির আগে সমস্যায় পড়বেন দিল্লির মানুষ।
প্রতি বছর দিওয়ালির পর থেকে রাজধানী সংলগ্ন এলাকাতে বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করে। কিন্তু এ বার দিওয়ালির দু’সপ্তাহ আগে থেকেই দূষণে ঢেকেছে দিল্লির আকাশ। বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ, ফসল কাটার পরে পড়ে থাকা অংশ পোড়ানোর অভ্যাস। ফি বছর বারণ করা সত্ত্বেও এ বারও পঞ্জাব, হরিয়ানার ক্ষেতে ফসল কাটার পরে পড়ে থাকা অংশ পোড়ানো হচ্ছে। সেই ধোঁয়া পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লি ও সংলগ্ন নয়ডা, গাজিয়াবাদ ও গুরুগ্রাম এলাকায়। উপগ্রহ চিত্র জানিয়েছে, ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে রাজধানীর।
কৃষকদের আটকাতে না পেরে এ বার দিল্লিতে গাড়ি বন্ধ করার কথাই ভাবছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বাতাসে ভাসমান ক্ষতিকর কণার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। বাতাসের গুণমান নিয়ে কাজ করে চলা কেন্দ্রীয় সংস্থা সফর-এর মতে, গত ২৪ ঘন্টায় আশপাশের এলাকায় প্রচুর ক্ষেতের আগাছা পোড়ানোর ঘটনা সামনে এসেছে। সেই ধোঁয়া এসে জমা হয়েছে দিল্লির আকাশে। কিন্তু বাতাসের গতি না থাকায় তা সরতে পারছে না। এর ফলে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ক্ষতিকর পর্যায় ৪০১-এ পৌঁছে যায়। যার মধ্যে ২.৫ মাইক্রন ভাসমান ক্ষতিকর কণা রয়েছে ২৮ শতাংশ। যা মানুষের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ভুরে লাল জানান, ‘‘অবস্থার উন্নতি না হলে ১ নভেম্বর থেকে বেসরকারি গাড়িকে কিছু দিন রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। কেবল গণপরিবহণ ব্যবস্থাই চালু থাকবে।’’
দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। চালানো হচ্ছে না জেনারেটর। বন্ধ বদরপুর তাপবিদ্যৎ কেন্দ্র। ভাগাড়গুলিতে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত আবর্জনা জ্বালানোও বন্ধ রাখা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy