মায়াবতী। —ফাইল চিত্র।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ‘মায়ার খেলা’র উপর বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বলে মনে করছেন রাহুল গাঁধী, অখিলেশ যাদবেরা। আর তাই দলিত নেত্রীর ভোট ব্যাঙ্ককে সঙ্গে রাখার লক্ষ্য নিয়েই জোট কৌশল রচনা করছেন তাঁরা।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এসপি নেতা অখিলেশ জোটের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন ‘বহেনজি’কে। বলেছেন বিজেপিকে উৎখাত করার জন্য জোট গড়ার প্রশ্নে নিজেদের আসন ছাড়তেও রাজি তিনি। অন্য দিকে আসন্ন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনে মায়াবতীকে সঙ্গে রেখে লোকসভা নির্বাচনের ভিত প্রস্তুত করতে সক্রিয় রাহুল গাঁধী। মায়াবতী গোড়ায় জানান ‘সম্মানজনক শর্তে’ আসন রফা চান। অন্যান্য বিরোধী দলের কাছে থেকে ইতিবাচক সংকেত পেয়ে এবার তিনিও নরম হয়েছেন। বিএসপি সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘‘মায়াবতী এসপি, কংগ্রেস এবং আরএলডি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০১৯-র লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য মনস্থির করেছেন। তবে সেই সঙ্গে নিজের দলের অস্তিত্বও যাতে বহাল থাকে, তাও দেখছেন।’’ মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কমিটির প্রধান কমল নাথ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মায়াবতীর সঙ্গে। হিসেব অনুযায়ী ওই রাজ্যে বিএসপি’র রয়েছে ৬ শতাংশ ভোট, কংগ্রেসের ৩৬ শতাংশ। ফলে ওই ৬ শতাংশ সঙ্গে পেলে তা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে রাহুলের দলের কাছে।
বিএসপি সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে অন্তত ৩৫টি আসন চান মায়াবতী। সে ক্ষেত্রে এসপি, আরএলডি এবং কংগ্রেসকে সমঝোতা করতে হবে তাঁর সঙ্গে। কংগ্রেস সূত্র অবশ্য বলছে, লোকসভা নির্বাচনের দেরি আছে। তার আগে তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে মায়াবতীকে কিছু আসন দিয়ে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন রাহুল।
আসলে গোরক্ষপুর এবং ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এবং তার পর কৈরানায় মায়াবতী-অখিলেশ মডেলের সাফল্যের পর বিভিন্ন রাজ্যে মায়াবতীকে পাশে পেতে ঔৎসুক্য বেড়েছে। উদ্দেশ্য, ব্র্যান্ড মায়াবতীকে কাজে লাগিয়ে দলিত ভোট টানা। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিএসপি’র ভোটের হার যেখানে নগণ্য, সেখানে শক্তিশালী বিরোধী দলের সঙ্গে জোট করার প্রশ্নে স্বাভাবিক ভাবেই আগ্রহী মায়াবতীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy