মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ঐকমত্য হল না।
অরবিন্দ কেজরীবালের হয়ে জোটবদ্ধ লড়াইয়ের সময়ই চন্দ্রবাবু নায়ডু, বিজয়ন আর কুমারস্বামীর সঙ্গে ডেপুটি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে আলোচনা করেন মমতা। সিপিএম সূত্রের দাবি, সেখানে তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়ের নামের প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু তৃণমূলের প্রার্থীকে সরাসরি মেনে নিতে আপত্তি রয়েছে সিপিএমের। তাঁরা বরং বড় দল হিসেবে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থীকে মেনে নিতে রাজি। কংগ্রেসের আহমেদ পটেলও দলের প্রার্থীকে সমর্থন করতে বলেন। তবে তৃণমূল সূত্রের মতে, মমতার কাছে নামটা সমস্যা নয়। বিরোধী শিবিরের কোনও গ্রহণযোগ্য নাম দিয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করাই লক্ষ্য। তাঁদের আশা, কংগ্রেসও সে ক্ষেত্রে তাদের কোনও নাম নিয়ে জোরাজুরি করবে না।
রাজ্যসভায় এখনও সংখ্যালঘু বিজেপি। বেঙ্কাইয়া নায়ডু চেয়ারম্যান হওয়ার পর ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদটি বিরোধীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে পি জে কুরিয়নের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসে। পরের অধিবেশনের আগে নতুন কাউকে বাছতে হবে। বিজেপি নিজেদের প্রার্থী দিতে আগ্রহী। এই মুহূর্তে বড় দল তারাই। কিন্তু এডিএমকে-র মতো বন্ধু দল আর শরিক মিলিয়েও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। উল্টো দিকে বিরোধী শিবিরেও পুরো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ফলে চাবিকাঠি এখন নবীন পট্টনায়ক, জগন্মোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখরের হাতে। এর মধ্যে নবীনেই বেশি ভরসা বিরোধী শিবিরের। কারণ, বাকি দুই দল বিজেপির সঙ্গে যেতে পারে। সে কারণে নবীনের দল থেকে প্রার্থী করারও প্রস্তাব উঠছে। কিন্তু বিজেডি এখনও কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে সমদূরত্ব রাখার কথা জানাচ্ছে। জুলাই মাসের গোড়ায় বিরোধীরা ঐকমত্যের প্রার্থী খুঁজতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy