হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি বহু ভক্তকে। ছবি: পিটিআই।
মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু, তা খাওয়ার পরই অসুস্থবোধ করতে থাকেন অনেকে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি ১১ জন ভক্তকে। শুক্রবার কর্নাটকের চামরাজনগর জেলার ওই ঘটনায়এখনও পর্যন্তচিকি়ৎসাধীন ৮২ জন। জেলা প্রশাসনের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী।
চামরাজনগর জেলার পুলিশ সুপার ধর্মেন্দ্র কুমার মীনা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে সুলিভাডি গ্রামের ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই মন্দিরের পরিচালন সমিতির দুই কর্তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের দাবি, চালের তৈরি ওই প্রসাদ থেকে কেরোসিনের তীব্র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে অনেকেই তা অগ্রাহ্য করে খেয়ে নেন। এর পরই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেকেই বমি করতে থাকেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেককে মহীশূরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে গোহত্যা! ‘একঘরে’ করার ডাক দিল পুলিশ
আরও পড়ুন: ‘নরেন্দ্র মোদীর জয় নয়, বলুন ভারতমাতার জয়’, নিজের জয়ধ্বনি আর শুনতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী
এই ঘটনার পিছনে চক্রান্তের অভিযোগ করেছে জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তার দাবি, প্রসাদের সঙ্গে কোনও ভাবে বিষাক্ত কিছু মিশে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই ওই প্রসাদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনারই তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy