Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Sonia Gandhi

সনিয়াই আপাতত সভাপতি, গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে বাছতে পারল না কংগ্রেস

এ দিনও রাহুল গাঁধীকে ফিরে পেতে আগ্রহী ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ।

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া এবং রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া এবং রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ২৩:২১
Share: Save:

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও সভাপতি ঠিক করতে পারল না কংগ্রেস। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে ফের দলের দায়িত্বে ফেরানো হল সনিয়া গাঁধীকে। শনিবার সন্ধ্যায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দিল্লিতে বৈঠক বসেছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনও রাহুল গাঁধীকে ফিরে পেতে আগ্রহী ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। কিন্তু ইস্তফাপত্র তুলে নিতে রাজি হননি তিনি। এমন অবস্থায় রাজীব জায়ার দ্বারস্থ হন দলের নেতারা। যত দিন পর্যন্ত না রাহুলের বিকল্প পাওয়া যাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত তাঁকে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করা হয়, যা ফেলতে পারেননি সনিয়া। তার পরই এত দিন ধরে পড়ে থাকা রাহুল গাঁধীর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়।

রাহুল গাঁধীর উত্তরসূরি হিসাবে এত দিন অনেকেরই নাম উঠে আসছিল, যাঁদের মধ্যে দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন মুকুল ওয়াসনিক এবং মোদী সরকারের প্রথম দফায় লোকসভায় বিরোধী নেতার দায়িত্ব পালনকারী মল্লিকার্জুন খড়্গে। তবে শেষ মেশ সেই গাঁধী পরিবারেই হাতেই কংগ্রেসের দায়িত্ব গেল।

আরও পড়ুন: ছন্দ ফেরানোর সরকারি প্রচেষ্টা শুরু, ইদে সব কিছু স্বাভাবিক থাকবে তো, প্রশ্ন ঘুরছে উপত্যকায়​

এ দিন বিকাল পর্যন্ত যদিও সের কম কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। এমনকি সভাপতি বাছা নিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পর্যন্ত যোগ দিতে চাননি সনিয়া এবং রাহুল গাঁধী। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের অনুরোধ ফেলতে পারেননি তাঁরা।

কংগ্রেসের বিবৃতি।

আরও পড়ুন: শোভন কি আবার তৃণমূলেই ফিরছেন? আসরে স্পিকার, দীর্ঘক্ষণ কথা, জল্পনা তুঙ্গে​

এ বছর লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর, ব্যর্থতার দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গাঁধী। গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে দায়িত্ব বসানোর পরামর্শ দেন তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। সেই থেকে সভাপতির খোঁজ চলছিল কংগ্রেসের অন্দরে। তবে যত দিন পর্যন্ত উপযুক্ত কাউকে না পাওয়া যায়, তত দিন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব সামালানোর জন্য কাউকে আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন শশী তারুর-সহ দলের অনেক প্রবীণ নেতারাই। শেষমেশ সেই পথেই হাঁটল দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE