প্রতীকী ছবি।
রাস্তার ধারে রেস্তোরাঁর বাইরে সাজানো টিক্কা বা শিক কাবাব— শীতের দিনে খাদ্যরসিকদের টানবেই। কিন্তু দক্ষিণ দিল্লির সফদরজঙ্গে কমল সিনেমার উল্টো দিকে বা হাউজ খাস, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি, পিভিআর সাকেত, লাজপত নগরের অমর কলোনি মার্কেট— বিভিন্ন জায়গায় এই পরিচিত দৃশ্য উধাও হয়ে যেতে পারে আর কিছু দিনের মধ্যেই।
সম্প্রতি দক্ষিণ দিল্লির বিজেপি-শাসিত পুর প্রশাসন এই মর্মে এক প্রস্তাব পাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে, ‘‘আমিষ এই সব পদ প্রকাশ্যে এ ভাবে রাখতে নিষেধ করা হবে রেস্তোরাঁ মালিকদের।’’ কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘‘খোলা জায়গায় এ ভাবে খাবার রেখে দিলে কাঁচা মাংস বা রান্না করা মাংসে দূষণের আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া, এতে নিরামিষাশীদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়।’’
যদিও ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ এই দাবির মধ্যে কোনও যুক্তি খুঁজে পায়নি। সংস্থার প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক কে কে অগ্রবাল বলেছেন, ‘‘খোলা খাবারে দূষণ হলে নিরামিষ বা আমিষ, সব খাবারেই হবে।’’ তাঁর মতে, আমিষ বা নিরামিষ যে খাবারই রাস্তায় খোলা জায়গায় তৈরি করা হয়, তা খেয়ে বিষক্রিয়া হতে পারে। একই কথা বলেছেন এইমসের চিকিৎসকরাও। এই পদক্ষেপ তাঁদের কাছে ভিত্তিহীন বলেই মনে হয়েছে।
যদিও কাউন্সিলর রাজ দত্তের (যিনি এই প্রস্তাব এনেছেন) দাবি, ‘‘এখানকার নিরামিষাশী মানুষ অনেক সময়েই অভিযোগ জানাতেন, মুরগি-খাসির মাংস, বা মাছ যে ভাবে খোলা জায়গায় কাটা হয়, তার গন্ধে অস্বস্তি হয় এবং এই দৃশ্য তাদের আঘাতও করে।’’ তাই বিজেপি পুর প্রশাসন এ ব্যাপারে আইন আনতে চায়। রেস্তোরাঁগুলির দিকটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে তাঁদের দাবি। এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন রেস্তোরাঁ মালিকরা। সফদরজঙ্গের এক ধাবা র ম্যানেজার বাসুদেব জানালেন, এটা অন্যায্য। তবে সরকার যদি আইন করে, তা তো মানতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy