শপথগ্রহণ: গোয়ায় মনোহর পর্রীকর। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথ নিলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মনোহর পর্রীকরকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গোয়ার রাজ্যপাল মৃদুলা সিন্হা প্রথমে পর্রীকরকে পনেরো দিন সময় দিলেও আজ সুপ্রিম কোর্ট সেই সময়সীমা বেঁধে দেয় ২ দিনে।
৪০ আসনের গোয়ায় সরকার গড়তে ২১ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন ছিল বিজেপির। নিজেদের ১৩ জন বিধায়কের পাশাপাশি অন্য দলের ৯ বিধায়কের সমর্থন জোগাড়ের প্রমাণ রবিবার রাতেই রাজ্যপাল মৃদুলা সিন্হার হাতে তুলে দেন পর্রীকর। সেই রাতেই সরকার গড়ার ডাক পায় বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। তবে ঘরোয়া মহলে কংগ্রেসও মনে করছে, ফল ঘোষণার রাত থেকেই যে তৎপরতা দেখিয়ে বিজেপি গোয়ায় অপারেশন চালিয়েছে, তাতে আস্থাভোটে তাদের জয় অনেকটাই নিশ্চিত। যদিও বিজেপির ঘর ভাঙতে এখনও মরিয়া কংগ্রেস। গোয়া-মণিপুরে বিজেপি অনৈতিক ভাবে সরকার গড়ছে, এই অভিযোগ তুলে আজ লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। ভোটের ফলাফলের পরে আজই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুলে রাহুল গাঁধী বলেন, ‘‘মেরুকরণের জোরে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জিতেছে। সে জন্য তাদের অভিনন্দন। কিন্তু গোয়া ও মণিপুরে অর্থ ও পেশি বলে সরকার গড়তে চাইছে বিজেপি। এটাই বিজেপির দর্শন।’’ রাহুলের অভিযোগ উড়িয়ে সদ্য শপথ নেওয়া গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পর্রীকর বলেন, ‘‘সরকার গড়তে কোনও টাকার খেলা হয়নি।’’
আরও পড়ুন: গোয়া কংগ্রেসে বিদ্রোহের অবস্থা, ঝড়ের মুখে নেতৃত্ব
পরে আদালত গোয়ার রাজ্যপালের দেওয়া পনেরো দিনের পরিবর্তে দু’দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার নির্দেশ দেয় পর্রীকরকে। যাকে নিজেদের জয় বলেই মনে করছেন সিঙ্ঘভি। অরুণ জেটলি পরে বলেন, ‘‘ত্রিশঙ্কু লোকসভা বা বিধানসভার ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকেই যে ডাকতে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy