তেজপ্রতাপ।
সুযোগ পেলে আরজেডির দায়িত্ব নিজের হাতে নিতে চান লালুপ্রসাদের বড়ছেলে তেজপ্রতাপ। আর সেই সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করলেন তিনি। আজ পটনায় আরজেডি দফতরে ‘জনতা দরবার’ করলেন। তিনি জানিয়েছেন, এ বার থেকে রোজ চার ঘণ্টা সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন। এ দিন জনতা দরবারের পরে বাবার ঢঙেই দলের কথাবার্তা বলেন। বলেন, ‘‘সুযোগ পেলে দলের দায়িত্ব নিজের হাতে নেব।’’
বর্তমানে আরজেডির দায়িত্ব রয়েছে লালুপ্রসাদের হাতেই। তবে অঘোষিত ভাবে দলের কাজ দেখাশোনা করেন তাঁর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব। দলের ভিতরে তেজস্বীর অতিসক্রিয়তায় কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ লালুপ্রসাদের বড়মেয়ে মিসা ভারতী এবং তেজপ্রতাপ। এ দিন তেজপ্রতাপের মন্তব্য পরিবারের ভিতরের বিরোধকে ফের উস্কে দিয়েছে। তেজপ্রতাপ বলেন, ‘‘কৃষ্ণ ছাড়া অর্জুনের পক্ষে যুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়। আমি তেজস্বীর কৃষ্ণ।’’ তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দলের দায়িত্ব নিজের হাতে রাখতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে মুখ খোলেননি তেজস্বী।
বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার পরে মাস খানেক পরিবার ও রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন তেজপ্রতাপ। ফিরে এসে সক্রিয় হয়েছেন তিনি। নিয়মিত পটনার বীরচন্দ্র পটেল পথে দলের দফতরে বসছেন। তিনি হাজির থাকায় ফের নেতা-কর্মীরা দলীয় দফতরে আসতে শুরু করেছেন এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ দলীয় দফতরে হাজির হন তেজপ্রতাপ। যদিও দলের কোনও বড় নেতা ছিলেন না। তবে তেজপ্রতাপের সমর্থকেরা ছিলেন। আজ নালন্দা, রোহতাস ও খগরিয়া থেকে অনেক লোক জনতা দরবারে হাজির হন। সেখানে তাঁদের সমস্যা শুনে রাজ্যের মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিকদের ফোনও করেন তেজপ্রতাপ। লালুহীন দলের রাশ নিজের হাতে নিতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছেন না তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy