Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
National News

ন’মাসের শিশুকে চলন্ত অটো থেকে ছুড়ে ফেলে গণধর্ষণ মাকে!

দুধের শিশুকেও রেয়াত করল না ওরা। ভয় পেয়ে হঠাৎ কেঁদে ওঠায় চলন্ত অটো থেকেই তাকে টান মেরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল। তার পরে গণধর্ষণ করা হল ২৩ বছরের ওই তরুণীকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ন’মাসের ওই শিশু।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ১৫:২২
Share: Save:

নয় মাসের শিশু কন্যাকে কোলের মধ্যে জাপটে ধরে রেখেছিলেন মা। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। দুধের শিশুকেও রেয়াত করল না ওরা। ভয় পেয়ে হঠাৎ কেঁদে ওঠায় চলন্ত অটো থেকেই তাকে টান মেরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল। তার পরে গণধর্ষণ করা হল ২৩ বছরের ওই তরুণীকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল ন’মাসের ওই শিশুর।

ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির কাছে গুরুগ্রামে। গত মাসের ২৯ তারিখ স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডেল টাউনশিপ (আইএমটি) মানেসরের বাসিন্দা ওই যুবতীর। পারিবারিক অশান্তির জেরে সে দিন রাতে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, তিনি যখন দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেই সময় এক অটো চালক তাঁকে লিফ্ট দেওয়ার প্রস্তাব দেন। অটোতে আরও তিন জন যুবক ছিল। অটোয় ওঠার পর থেকেই তাঁরা ওই মহিলার সঙ্গে অশালীন ব্যবহার শুরু করে। এমনকী, তাঁর যৌন হেনস্থাও করা হয়। এতেই বাধা দেন ওই তরুণী।

আরও পড়ুন: গাড়ি থেকে নামিয়ে চার জনকে গণধর্ষণ, বাধা দিয়ে সঙ্গী খুন উত্তরপ্রদেশে

ধ্বস্তাধ্বস্তির মধ্যে ভয় পেয়ে যায় শিশুটি। হঠাৎই সে কাঁদতে শুরু করলে চালক চলন্ত অটো থেকেই তাকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়। মাথায় মারাত্মক আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি। এর পরেই অটোর মধ্যে থাকা তিন যুবক গণধর্ষণ করে ওই মহিলাকে।

পরে দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকেই উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। সোমবার গুরুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার সন্দীপ খিরওয়ার জানান, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE