প্রতীকী ছবি।
ইংরেজি পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী। শাস্তি হিসেবে তাদের জামা খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। উত্তরাখণ্ডের রুরকি শহরের লনদৌরা এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ওই দুই স্কুলপড়ুয়ার অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন
সুচগুলি ফুটিয়েছে পুত্রবধূ, দাবি সনাতনের
রুরকির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মণিকান্ত মিশ্র বলেন, “লিখিত অভিযোগে ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, স্কুলের পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়াতেই রেগে যান ওই শিক্ষিকা। তা নিয়ে বকাঝকাও শুরু করেন তিনি। এর পর ক্লাসের সকলের সামনেই তাঁদের মেয়েদের জামা খুলে নেন তিনি।” বাড়ি ফিরে এসে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায় ওই পড়ুয়ারা। এর পরই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। অভিযুক্তের অপসারণের দাবিও জানান তাঁরা। তবে তাতে সাড়া দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে শালীনতা ভঙ্গের মামলা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন
গুজরাতে রাজ্যসভা ভোটে নোটা বাতিলের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দফতরও। জেলার শিক্ষা আধিকারিক (বেসিক) ব্রহ্মপাল সিংহ সাইনি বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওই শিক্ষিকার অপসারণের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, শিক্ষিকাদের আচরণ নিয়ে কর্মশালার জন্য সমস্ত স্কুলকেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” তবে এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, “স্কুলে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।” একই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বরখাস্তের দাবিতেও অনড় অভিভাবকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy