নীতীশ কুমারকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিধানসভার স্পিকার বিজয় চৌধুরি। ছবি: পিটিআই
বিহারের জাতপাতের সমীকরণ অক্ষুণ্ণ রেখেই মন্ত্রিসভা তৈরি করলেন নীতীশ কুমার। অঙ্ক মিলিয়ে মন্ত্রিসভায় রাজ্যের প্রায় সমস্ত গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ভারসাম্য বজায় রাখলেন তিনি। মন্ত্রিসভায় একমাত্র সংখ্যালঘু মুখ, গত কাল বিধানসভার পোর্টিকোয় ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তোলা, ফিরোজ আহমেদ। এ দিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল পাঁচটায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রাধান্য ছিল যাদব সম্প্রদায়ের। লালুপ্রসাদকে টক্কর দিতে নতুন মন্ত্রিসভায় যাদব সম্প্রদায়ের ছ’জন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দলে ‘হিরো’ হয়েও তেজস্বীর চিন্তা ইডি
গত রাতে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল সুশীল মোদী-নিত্যানন্দ রায়ের। কিন্তু নীতীশ বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলেন, দিল্লি থেকে মন্ত্রীদের তালিকা তৈরি করাটা ঠিক দেখাবে না। বিজেপি নেতৃত্বও সে কথা মেনে নেন। এরপরেই দিল্লি যাত্রা বাতিল করে সুশীল ও নিত্যানন্দ তাঁদের তালিকা নিয়ে হাজির হন অ্যানে মার্গের মুখ্যমন্ত্রী-নিবাসে। সেখানে রাত তিনটে পর্যন্ত ছিলেন দুই বিজেপি নেতা। হাজির ছিলেন জেডিইউ রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহ, ললন সিংহরা। মন্ত্রিসভার খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদন আনানো হয়। সকালে সেই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে।
বিজেপি নেতৃত্ব চেয়েছিলেন, মন্ত্রিসভায় এনডিএ শরিক জিতনরাম মাঁঝির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশহওয়ার লোক সমতা পার্টির প্রতিনিধিকে সামিল করা হোক। কিন্তু নীতীশ কুমারের আপত্তিতেই কট্টর নীতীশ-বিরোধী এই দুই নেতার অনুগামীদের আপাতত সামিল করা হয়নি।
আইন অনুযায়ী, বিহার বিধানসভার সংখ্যার হিসেবে ৩৬ জনকে মন্ত্রিসভায় সামিল করতে পারেন নীতীশ। এ দিন প্রথম দফায় জেডিইউয়ের ১৪ জন, বিজেপির ১২ জন এবং লোক জনশক্তি পার্টির ১ জনকে নিয়ে মোট ২৭ জন শপথ নেন। সব মিলিয়ে নীতীশ কুমার-সুশীল মোদীকে নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ২৯। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরেই রাজভবন থেকে নতুন মন্ত্রীরা পৌঁছে যান সচিবালয়ে। সেখানে এনডিএ মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকটি হয়। নতুন মন্ত্রীদের দফতর বন্টন করার সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy