পিটারম্যান হিমবাহে সেই বড় ফাটল।
গ্রিনল্যান্ডের পিটারম্যান হিমবাহের বিশাল বড় ফাটলের ছবি প্রকাশ করল নাসা। এটি গ্রিনল্যান্ডের সবচেয়ে বড় হিমবাহ। নতুন এই ফাটলটি কী ভাবে সৃষ্টি হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে।
গত সাত দিন ধরে উত্তর-পশ্চিম গ্রিনল্যান্ডে ‘অপারেশন আইসব্রিজ’ নামে একটি অভিযান চালাচ্ছে নাসা। নেদারল্যান্ডসের ডেল্ফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-র অধ্যাপক স্টেফ লারমিট উপগ্রহ চিত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে অদ্ভুত একটি ফাটল লক্ষ্য করেন পিটারম্যান হিমবাহে। ছবিটি নাসা-কে দেন তিনি। তার পরই পর্যবেক্ষণ করতে গ্রিনল্যান্ডে অভিযান শুরু করে নাসা-র একটি দল। হিমবাহের একদম কেন্দ্রে আইস সেল্ফ-এ ফাটলটি দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন নাসার গবেষকরা। কী ভাবে এই ফাটলটা তৈরি হল তা নিয়ে সকলের মনে একটা প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। অন্য দিকে, আরও একটি বড় ও বেশ চওড়া ফাটল হিমবাহের আইস সেল্ফ-এর কেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যদি এই দু’টো ফাটল এক সঙ্গে মিশে যায় তা হলে হিমবাহের একটা বিশাল অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এটা খুব একটা ভাল সঙ্কেত নয় বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: সত্যিই টেলিস্কোপে ধরা দিল ব্ল্যাক হোল? বিজ্ঞানী মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে
গত সপ্তাহেই ১০০ বর্গ মাইলের বরফের বিশাল অংশ ভেঙে পড়েছিল। ২০১০ ও ২০১২-তে পিটারম্যান হিমবাহ ভেঙে গিয়েছিল। এ বার যে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে যদি ফের ভাঙন ধরে তা হলে আকারে অনেকটাই ছোট হয়ে যাবে পিটারম্যান বলে জানান জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ডেনমার্ক অ্যান্ড গ্রিনল্যান্ড-এর এক গবেষক। তাই গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকায় আইসব্রিজ অপারেশন চালায় নাসা। কী ভাবে দুই মেরুতে হিমবাহগুলো তাদের গতি-প্রকৃতি বদলাচ্ছে সেই তথ্য সংগ্রহ করাই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য।
ছবি: সৌজন্যে নাসা।
নাসা প্রকাশিত পিটারম্যান হিমবাহের নতুন ছবি দেখে লারমিট বলেন, “মহাকাশ থেকে অনেক দিন ধরেই এই ফাটলটা নজরে আসছিল। তবে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে দারুণ লেগেছে।” তিনি আরও জানান, শুধু এই ছবি দেখেই বোঝা যাবে না ফাটল কী ভাবে এবং কেন হয়েছে। তবে হিমবাহের কেন্দ্রে ফাটল ধরার বিষয়টা সচরাচর হয় না বলেই জানান লারমিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy