Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দখিন হাওয়ায়

রবীন্দ্রসদনে গীতাঞ্জলি ট্রুপ-এর অনুষ্ঠানে‘দখিন হাওয়ায় পথ ও পথিক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা করলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। রবীন্দ্রসদনে গীতাঞ্জলি ট্রুপ-এর অনুষ্ঠানে দ্বৈত ও সম্মেলক রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে ছিল নৃত্যও। শুরুতেই পরিবেশিত হয় ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে’, ‘দখিন হাওয়া’, ‘যদি তারে’ প্রভৃতি গান। বেশ কিছু গানে অসামঞ্জস্য দেখা দিলেও শেষ তিনটি গানের কোলাজে নৃত্যশৈলী বেশ সুন্দর লেগেছে। গানে ছিলেন দীপা বন্দ্যোপাধ্যায়, মিতা চট্টোপাধ্যায়, অভীক চট্টোপাধ্যায়, নীরজ রায় ও দেবারতি মিত্র।

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৪ ০০:৩৫
Share: Save:

‘দখিন হাওয়ায় পথ ও পথিক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা করলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। রবীন্দ্রসদনে গীতাঞ্জলি ট্রুপ-এর অনুষ্ঠানে দ্বৈত ও সম্মেলক রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে ছিল নৃত্যও। শুরুতেই পরিবেশিত হয় ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে’, ‘দখিন হাওয়া’, ‘যদি তারে’ প্রভৃতি গান। বেশ কিছু গানে অসামঞ্জস্য দেখা দিলেও শেষ তিনটি গানের কোলাজে নৃত্যশৈলী বেশ সুন্দর লেগেছে। গানে ছিলেন দীপা বন্দ্যোপাধ্যায়, মিতা চট্টোপাধ্যায়, অভীক চট্টোপাধ্যায়, নীরজ রায় ও দেবারতি মিত্র। নীরজ রায় ও দেবারতি মিত্রের দ্বৈত কণ্ঠে ‘তোমার বাস কোথা যে পথিক’ গানটিতে ছিল মধুর নাটকীয়তা। সেই সঙ্গে সোনালী শর্মার নাটকীয় মুদ্রায় নৃত্য পরিবেশন বেশ প্রশংসনীয়। ‘আমি পথভোলা এক পথিক’ গানটিতে কত্থকের মুদ্রা ও বোল না দিলেও ভাল লাগত। নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন অনুরাধা কৃষ্ণন, নন্দিনী কৃষ্ণন, সংযুক্তা, প্রিয়াঙ্কা, বর্ষা প্রমুখ শিল্পী। এ দিন অনুষ্ঠানের মূল অতিথি ছিলেন শুভ্রা মুখোপাধ্যায়। তিনি-ই এই সংস্থা তৈরি করেছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অভিজিৎ (মুম্বই), সত্যম রায়চৌধুরী প্রমুখ।

নিশীথ রাতের প্রাণ

পরিণত কণ্ঠে মনোজ মুরলী নায়ার রবীন্দ্রসদনে। লিখছেন বারীন মজুমদার

মনোজ মুরলী নায়ার। সম্প্রতি তাঁর একটি একক রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান হয়ে গেল। দু’টি পর্বে বিভক্ত এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল পূজা পর্যায়ের গান। আর দ্বিতীয় পর্বে ছিল নাটক নৃত্যনাট্যের গান। পূজা পর্যায় শুরু করলেন ‘যিনি সকল কাজের কাজী’ দিয়ে ও শেষে গাইলেন কীর্তনাঙ্গ ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’। সাধারণত অনুষ্ঠানে শ্রোতারা যে ধরনের গান তাঁর কণ্ঠে শুনতে চান নির্বাচনের দিক দিয়ে এদিনের গানগুলি ছিল তার থেকে কিছুটা আলাদা। যদিও সেই নির্বাচনে ছিল না কোনও নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু ভিত্তিক পরিকল্পনা। অতি নিপুণ প্রত্যয়ের সঙ্গেই তিনি গানগুলিকে পরিবেশন করেছিলেন এখানেই তাঁর সার্থকতা। ‘আমি হেথায় থাকি শুধু’, ‘দেখা না দেখায় মেশা হে’, ‘মাটির বুকের মাঝে’, ‘বিরস দিন বিরল কাজ’ গানগুলি শুধু পরিচ্ছন্ন পরিবেশনই নয়, স্বতন্ত্র গায়কিতেও ছিল উজ্জ্বল। এ দিনের শ্রেষ্ঠ নিবেদন ‘নিশীথ রাতের প্রাণ’। তেওড়া তালে নিবদ্ধ এই গানটি তাঁর পরিণত কণ্ঠে কথা বলার মতোই সহজ ও স্বতঃস্ফূর্ত চেহারায় ধরা দিল। দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হল ‘রক্তকরবী’ নাটকের ‘তোমায় গান শোনাব’ দিয়ে। ক্রমে ক্রমে গাইলেন ‘চোখের জলের লাগল জোয়ার’, ‘কাঁদালে তুমি মোরে’ প্রভৃতি। অনুষ্ঠানের আয়োজক ‘ডাকঘর’।

ত্রুটি রাখেননি আয়োজক

সম্প্রতি শিশির মঞ্চে ‘রূপমঞ্জরী’র অনুষ্ঠান শুরু হয় সমবেত গানের মাধ্যমে। একক গানে পরিমল ভট্টাচার্যের ‘যে আঁখিতে এত হাসি’, রমাপ্রসাদ দেবের ‘আমি তার ঠিকানা রাখিনি’, রাজা রায়ের ‘আমি এত যে তোমায়’ ও সুছন্দা ঘোষের গানগুলি মনে রাখার মতো। অন্যান্যদের মধ্যে যাঁরা গান শোনালেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন শান্তিপ্রিয় সেনগুপ্ত, নূপুর বসু, রুমা সিংহ, সন্ধ্যাশ্রী দত্ত, কাকলি দাস, দীপ্তি চন্দ্র, কাকলি দেব প্রমুখ। পাঠে অনিন্দিতা কাজীর কণ্ঠে মল্লিকা সেনগুপ্তের ‘সাধারণ মেয়ে’ শোনা এক অপূর্ব অনুভূতি। পরে প্রসূন গুহর ‘সার্থক জনম’ মন্দ নয়। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, মলি দেবনাথ, মৌ গুহ, নীহারেন্দু ভট্টাচার্য প্রমুখ।

শেষ পর্বে তানিয়া দাসের পরিচালনায় পরিবেশিত হল ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্য। অরুণেশ্বর ও কমলিকার ভূমিকায় গানে ছিলেন প্রবুদ্ধ রাহা, মালবিকা শূর এবং নৃত্যে দেবজিৎ মুখোপাধ্যায়, স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষ্যে রাজর্ষি রায়, মধুমিতা বসু, হীরালাল শীল। এ দিন সংবর্ধনা দেওয়া হয় কল্যাণী কাজীকে।

ভক্তিগানের রসবোধ

পায়েল সেনগুপ্ত

স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত নূপুর গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থাপনায় ছিল ‘হর হর হর ভূতনাথ’, ‘তাথৈয়া তাথৈয়া নাচে ভোলা’ এবং হিন্দি ঠুমরি ‘মুঝে বারি বনওয়ারি সইয়াঁ’। নিঃসন্দেহে এই হিন্দি ঠুমরিটি শ্রোতাদের কাছে বড় পাওনা। ‘কথামৃত’ থেকে সিচুয়েশন উদ্ধৃত করে রামকৃষ্ণের প্রিয় গান শোনানোর কৌশলটিও বেশ হৃদয়গ্রাহী ছিল। শুনতে ভাল লেগেছে গিরিশ ঘোষের ‘কেশব কুরু করুণা দীণে’, কবীরের ভজন ‘ম্যায় গুলাম’, যদু ভট্টের কম্পোজিশন ‘বিপদভয় বারণ’। শেষের ভজন ‘প্রভু মেরে অবগুণ চিত না ধরো’ খুবই সুন্দর গেয়েছেন শিল্পী।

হৃদয় যখন গানে

সম্প্রতি অরবিন্দ ভবনে কল্যাণ গুহর ভাবনায় অনুষ্ঠিত হল ‘হৃদয় নন্দন বনে’। পূরবী মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘অরিত্র’র শিল্পীরা পরিবেশন করলেন ব্রহ্মসঙ্গীত। পরে একক গানে শিল্পীরা ছিলেন কৌশিক দে, সুকল্যাণ চৌধুরী, সুপ্রিয়া চক্রবর্তী, সুুব্রতা পাল, দেবাশীষ রায়, সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্চালনায় ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের সম্পাদক আচার্য তপোব্রত ব্রহ্মচারী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

payel sengupta rabin majumdar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE