২। বিনিয়োগের মেয়াদ
এর পরে ঠিক করতে হবে, আপনি কত বছরের জন্য টাকা লগ্নি করতে চান। এটা ভাবা জরুরি, ওই সময়কাল জুড়ে রিটার্ন এলেও আপনার মূলধন আটকে থাকবে। এই সময়সীমার ভিত্তিতেই দু’ধরনের ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান রয়েছে- দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য।
৩। লোকসানের ঝুঁকি
বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা নানা মাপের হতে পারে। আপনি অন্যদের চেয়ে বেশি ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হতে পারেন, অথবা আয়ের সুযোগ ছেড়ে দিতে হলেও মূলধন সুরক্ষিত রাখতে ইচ্ছুক হতে পারেন। এর কোনওটাতেই অসুবিধা নেই, কিন্তু আপনাকেই বুঝতে হবে আপনি কতটা ঝুঁকি নিতে স্বচ্ছন্দ। তার উপরেই নির্ভর করবে আপনার বিনিয়োগের উপায়। যেমন , ইক্যুইটি শেয়ারে ঝুঁকির পরিমাণ ফিক্সড ডিপোজিট বা পিপিএফের চেয়ে বেশি। বেশি ঝুঁকির বিনিয়োগ দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে ভাল রিটার্ন আনতেই পারে। কিন্তু কম ঝুঁকির বিনিয়োগে রিটার্ন আসাটা নিয়মিত এবং তার ওঠাপড়াও কম। তার ফলে কত টাকা পাওয়া যাবে , সেই আন্দাজটাও বেশি স্পষ্ট।
৪। সম্পদ বণ্টন
কতটা ঝুঁকি নিয়ে কত টাকা লগ্নি করবেন, তা স্থির করার পরে আপনার মূলধন নির্দিষ্ট অনুপাতে ভাগ করে বিনিয়োগ করুন ইক্যুইটি, ডেট এবং অন্য নানা ধরনের সম্পদে। এই ভাগাভাগিটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার বিনিয়োগের পরিকল্পনায় খুব জরুরিও বটে।
৫। খরচের খোঁজ
কোনও কিছুতে টাকা লগ্নির আগে খেয়াল রাখুন এই বিনিয়োগের জন্য কোনও ফি দিতে হবে কি না। যেমন মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে হলে আপনাকে ফান্ড ম্যানেজার অথবা আর্থিক পরামর্শদাতাকে ফি দিতে হবে।