Advertisement
E-Paper

আইন আদালত

সম্পত্তি নিয়ে পাঠকের প্রশ্ন

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৮

বেগমপুরে মায়ের নামে তিন কাঠা জমিতে দোতলা বাড়ি রয়েছে। আমরা দুই ভাই। বেগমপুরে ভাই তাঁর পরিবার নিয়ে থাকে। আমি আমার স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-কে নিয়ে হাওড়ায় থাকি। আমি ও ভাই দু’জনেই চাকরিজীবী। আমার প্রশ্ন হল—

বেগমপুরের ওই সম্পত্তিটি কী ভাবে দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ হবে? আমি সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নিতে চাই। আমার ইচ্ছে ওই জমিতে প্রোমোটিং করানোর। মায়ের সম্মতিও আছে। কিন্তু ভাই সেখানেই থাকতে চায়। ভাইকে ঠকাতে চাই না আমি। শুধু ভাগের টাকাটুকু চাই। কথা বলেছি প্রোমোটারের সঙ্গে। মায়ের নামে বাড়ি হলেও, প্রোমোটার বলছেন নিজেদের মধ্যে এই ভাগাভাগির জন্য ভাইয়ের সই লাগবে। মা আমাকে আমার ভাগ দিতে রাজি। কিন্তু ভাই রাজি নয়। ও পুরো সম্পত্তি একা ভোগ করতে চায়।

শোভন সিংহ, হুগলি

যেহেতু সম্পত্তি মায়ের নামে, তাই আপনার মা উভয়কেই সম্পত্তিটি সমান ভাগে ভাগ করে দিতে পারেন ‘দানপত্র’ দলিলের মাধ্যমে। বা তাঁর যেমন ইচ্ছে, সেই মতো সম্পত্তি ভাগ করে দান করে দিতে পারেন। সম্পত্তি যদি আপনাদের দু’জনের নামে থাকত, তা হলে আমি নিজেদের মধ্যে ‘পার্টিশান’-এর মাধ্যমে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিতে বলতাম।

আপনি বলছেন, ওই জমিতে প্রোমোটিং করতে চান। মা-ও রাজি। কিন্তু ভাই নন। তিনি ওই জমিতে থাকতে চান। তাই তিনি সম্ভবত ওই জমিতে প্রোমোটিং করাতে রাজি হচ্ছেন না। আপনার ভাইয়ের বক্তব্য আমি জানি না। তবে হতে পারে, তাঁর অন্যত্র যাওয়ার জায়গা নেই। তাই তিনি মাথার উপর ছাদটুকু হারাতে চান না।

যাই হোক, সম্পত্তি যদি মায়ের নামে থাকে, তা হলে তিনি নিজেই ডেভেলপার বা প্রোমোটারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন। আপনাদের দু’ভাইয়ের স্বাক্ষর লাগবে না। তবে আমার মনে হয়, যেহেতু ভাই সম্পত্তির দখলে আছেন, তাই হয়তো প্রোমোটার তাঁকে ‘কনফার্মিং পার্টি’ হিসেবে রাখতে চাইছেন। নিশ্চিন্ত হবার জন্য, নচেৎ তিনি হয়তো ভাবছেন, আপনার ভাই দখল না ছাড়লে তিনি বিপদে পড়বেন। তবে আপনার মা যদি আপনাকে ও ভাইকে সম্পত্তি ভাগাভাগি করে দেন, সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার অংশ দিয়ে দিতে পারেন প্রোমোটারকে। সে জন্য ভাইয়ের সম্মতি বা স্বাক্ষর লাগবে না। মা-কে বলুন সম্পত্তি ভাগ করে দিতে। ভাই বরং তাঁর অংশ নিয়ে থাকুন।

(পরামর্শদাতা: আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়)

টুকরো খবর

ব্যাঙ্ক অব বরোদার নতুন শাখা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামকৃষ্ণপুরে নতুন শাখা খুলল ব্যাঙ্ক অব বরোদা। ব্যাঙ্কের দাবি, সকলের কাছে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে কেন্দ্র যে উদ্যোগের কথা জানিয়েছে, তারই অংশ হিসেবে ৫,০০০-এর বেশি জনসংখ্যা থাকা অঞ্চলে এই ছোট শাখাটি খুলেছে তারা। এখানে কোর ব্যাঙ্কিং-এর সাহায্যে গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা দেওয়া হবে। বিশেষত ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং কৃষিকাজে ঋণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলেও ব্যাঙ্কের দাবি।

ভ্রম সংশোধন

গত ১৩ মার্চের বিষয়-আশয়ের ট্যাক্স কর্নার বিভাগে অসিত কুমার চট্টোপাধ্যায়ের চিঠির উত্তরে তাঁর আয়করের

যে-হিসাব দেওয়া হয়েছিল, সেটি ভুল। সঠিক উত্তর হবে ৫৯,৬৭৮ টাকা। কারণ, পেনশন ও ব্যাঙ্কের সুদ মিলিয়ে

তাঁর মোট আয় (৭,৬৪,৭০০) থেকে বাদ যাচ্ছে ৮০সি ধারায় কর সাশ্রয়কারী প্রকল্পে সঞ্চয় হিসেবে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা।

এবং তার পর আয় দাঁড়াচ্ছে ৬,৬৪,৭০০ টাকা। প্রবীণ নাগরিক হওয়ায় অসিতবাবুর করশূন্য আয়ের সীমা

২,৫০,০০০ টাকা। অতএব, ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ১০% হারে কর হিসাব করে হচ্ছে ২৫,০০০ টাকা।

এর পর ৫ লক্ষের উপরে থাকা ১,৬৪,৭০০ টাকা আয়ের উপর ২০% হারে কর হিসাব করে দাঁড়াচ্ছে

৩২,৯৪০ টাকা। দু’টি মিলিয়ে (২৫,০০০+৩২,৯৪০) ৫৭,৯৪০ টাকা। এর উপর আবার যোগ হবে শিক্ষা

সেস ৩% হারে, অর্থাৎ ১,৭৩৮ টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট করের পরিমাণ ৫৯,৬৭৮ টাকা।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy