প্রশ্ন: আমি ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক থেকে ১০ গ্রামের একটি সোনার কয়েন কিনেছিলাম। সেটি এখন বিক্রি করতে চাই। ওই ২৪ ক্যারাটের (পাকা সোনা) কয়েনটি বিক্রির জন্য বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। যেমন, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, মুথুট ফিনান্স, পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স। কেউই কিনতে চাইছে না। কী করব?
হারাধন রক্ষিত, শ্রীরামপুর
বর্তমানে গয়না ব্যবসায়ীরা সরাসরি সোনার কয়েন কেনা বন্ধ রেখেছেন। তাই কয়েনটি বিক্রি করতে চাইলে, আপনার সামনে দু’টি বিকল্প—
১) সোনার কয়েন দিয়ে দোকান থেকে সোনার গয়না কিনতে পারেন।
২) সাধারণত কয়েনগুলি ২৪ ক্যারাট সোনার হয়। তাই ওই কয়েন গলিয়ে ২২ ক্যারাটে রূপান্তরিত করে, তার পর তা গয়নার দোকানে বিক্রি করতে পারেন। কোথায় এই রূপান্তর করা যায়, সেই হদিস পাওয়া যাবে গয়না ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই।
প্রশ্ন: নেট ব্যাঙ্কিং কি সুরক্ষিত ও নিরাপদ? নেট ব্যাঙ্কিং করার জন্য কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি?
প্রতাপ রায়, বিদ্যাসাগর রোড
ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে তুলনায় অনেক সহজে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম একটি পথ হল ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং। যাঁদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ আছে, তাঁদের অনেকেই আজকাল নেট ব্যাঙ্কিং মারফত যাবতীয় কাজকর্ম সারতে পছন্দ করেন। ব্যাঙ্কগুলিও চাইছে এই ব্যবস্থা আরও ছড়িয়ে দিতে। সুতরাং প্রযুক্তি-বান্ধব যুগে দাঁড়িয়ে এই পদ্ধতিকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে এটা ঠিক যে, অন্যান্য যে কোনও বিষয়ের মতো এ ক্ষেত্রেও সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিকটা অবশ্যই খেয়াল রেখে এগোতে হবে। এ বিষয়ে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে কী করবেন আর কী করবেন না।
যা করবেন:
• নির্দিষ্ট সময় অন্তর ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
• নকল করা শক্ত, এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এবং তা মনে রাখার চেষ্টা করুন।
• প্রত্যেক বার লগ ইনের পর, আগের বার কত তারিখে, ক’টার সময়ে লগ ইন করেছিলেন দেখে নিন।
• নিয়মিত কম্পিউটারকে অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করান, যাতে সিস্টেমকে ভাইরাসমুক্ত রাখা যায়।
• নেট ব্যাঙ্কিং করার জন্য নিজস্ব কম্পিউটার ব্যবহার করুন। সাইবার কাফে বা অন্য কারও কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেট মারফত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না-খোলাই ভাল।
• নেট খুলে অ্যাড্রেস বারে ঠিকঠাক ইউআরএল বা সাইটের নাম টাইপ করে লিখুন।
• অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ ব্যবহার করুন। সেগুলির মধ্যে সুরক্ষার নতুন প্রযুক্তিগুলি প্রথম থেকেই তৈরি করাই থাকে, যাতে অবাঞ্ছিত কেউ আপনার সংযোগের মধ্যে ঢুকে না-পড়তে পারে। • লেনদেন সম্পূর্ণ হওয়ার পর অবশ্যই লগ অফ করুন।
• এটিএম বা মোবাইল ব্যাঙ্কিং মারফত নিয়মিত অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার পরিমাণ দেখবেন।
• আপনার স্টেট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনলাইন হওয়ার সময়ে সব সময় খেয়াল করুন যে, অ্যাড্রেস বারে ইউআরএল-এর নাম টাইপ করার সময়ে সবুজ হচ্ছে তা?
যা করবেন না:
• ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড বলবেন না।
• ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হচ্ছে, এমন ই-মেল পেলে, উত্তর দেবেন না।
• স্টেট ব্যাঙ্ক বা তার কোনও শাখা কখনও এসএমএস বা ই-মেল পাঠিয়ে কিংবা ফোন করে গোপনীয় তথ্য জানতে চায় না। এই রকম কোনও ই-মেল, এসএমএস বা ফোন অগ্রাহ্য করাই ভাল।
• কোনও স্প্যাম মেল-এ লিঙ্ক হিসেবে স্টেট ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট দেওয়া থাকলে বা অন্য কোনও হাইপারলিঙ্ক খুলে কখনও নেট ব্যাঙ্কিং করবেন না।
• কম্পিউটারের ফায়ারওয়াল কখনও বন্ধ করবেন না। তা নেটওয়ার্ক ও সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে।
• অনেক লোকের মধ্যে ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য বা নথি নিয়ে কাজ করবেন না।