কেকেআই-এর নেটওয়ার্ক করাচি, পশ্চিম এশিয়া (মূলত দুবাই), উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। মার্কিন ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, এই নেটওয়ার্ক লশকর-ই-ত্যায়বা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানির মতো সংগঠনগুলির জন্য আর্থিক ‘সুইচবোর্ড’ হিসাবে কাজ করত। সেই ‘সুইচ’ টিপলেই টাকা পৌঁছে যেত সংগঠনগুলির হাতে।
২০১৫ সালের নভেম্বরে মার্কিন ট্রেজ়ারির বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রক অফিস কেকেআই-কে ‘আলতাফ খনানি মানি লন্ডারিং সংস্থা’ হিসাবে নামকরণ করে। একটি বিবৃতি জারি করে মার্কিন ট্রেজ়ারি বিভাগ জানায়, সংস্থাটি একটি সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠী এবং মাদক পাচারকারী সংস্থা। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির জন্য অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগও ওঠে সংস্থাটির বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে কেকেআই-এর উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করে আমেরিকা।
ঘটনাচক্রে, ভারতে পুরোনো নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের মাসখানেক পরে করাচিতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় জাভেদের। মনে করা হয়, ভারতে নোটবন্দির সঙ্গে সঙ্গে জাভেদের নেটওয়ার্ক এবং জাল টাকা পাচারকারী হাওয়ালা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। নড়ে যায় খনানি নেটওয়ার্কের ভিতও। আর তা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন জাভেদ। তবে সে দাবির কোনও প্রমাণ নেই। ফলে জাভেদের মৃত্যু রহস্যের আড়ালেই রয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy