কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলকে স্বাগত জানান রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং সিপি জোশী। তখনও বসুন্ধরা হয়তো আন্দাজ করতে পারেননি যে, কী হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন ঢোলপুরের মহারানি। দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরাকে সরিয়ে যে প্রথম বারের বিধায়ক ভজনকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, রাজনীতিকদের বড় অংশও আন্দাজ করতে পারেননি।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে জাতপাতের সমীকরণ বড় ভূমিকা নিতে পারে। রাজনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, সে কারণে ছত্তীসগঢ়ে আদিবাসী নেতা বিষ্ণুদেও সাই, মধ্যপ্রদেশে অনগ্রসর (ওবিসি) নেতা মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করার পর রাজস্থানে অগ্রাধিকার দেওয়া ব্রাহ্মণ নেতা ভজনকে। এতে বিজেপি ব্রাহ্মণ ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই সুরক্ষিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির একাংশ মনে করে, রাজস্থানে এক জন ব্রাহ্মণ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করলে তা কখনওই অন্তত দলকে বিপাকে ফেলবে না। রাজস্থানে জাঠ আর রাজপুত ভোটারদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে মুখ্যমন্ত্রী করলে অন্য সম্প্রদায় চটে যেতে পারে। তার প্রভাব পড়তে পারে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে।
রাজস্থান বিজেপির নেতাদের একাংশ আবার মনে করেন, আসলে বসুন্ধরার ক্ষমতা কিছুটা খর্ব করতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। অনেক ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন তিনি। তাই হয়তো তাঁর ডানা ছাঁটার উদ্দেশ্যেই ভজনকে এগিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ভজনের নাম পর্যবেক্ষকদের কাছে প্রস্তাব করেছেন বসুন্ধরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy