সিল্ক রুট বাস্তবায়িত করতে ২০১৩ সাল থেকে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ড্রাগনল্যান্ড। এরই আওতাভুক্ত ‘চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’ (সিপিইসি)। বলা বাহুল্য, সিল্ক রুটের মাধ্যমে বাণিজ্যের পাশাপাশি আমেরিকাকে সরিয়ে দুনিয়া জুড়ে প্রভুত্ব কায়েমের সুপ্ত বাসনাও রয়েছে বেজিংয়ের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘চিনের সিল্ক রুটের সঙ্গে আমাদের কটন রুটের বেশ কিছু মূলগত পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, এর মাধ্যমে আমরা পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চাইছি। দ্বিতীয়ত, দুই দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ পূরণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য, প্রভুত্ব কায়েম নয়।’’
কটন রুটের পথে থাকা দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে সমুদ্রের গভীরে তার বিছোনো ও ডেটা পাইপলাইন তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে নয়াদিল্লির। এই প্রকল্পে ইজ়রায়েলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চিনের সিল্ক রুটে আবার পাকিস্তানের গ্বদর, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা ও আফ্রিকার জিবুতি সমুদ্র বন্দর রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রকের পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘কটন রুট বিস্তারের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে আমরা ইটালিকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছি। পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি, সবুজ হাইড্রোজেন পাইপলাইন এবং বন্দর পরিকাঠামোর উন্নতির দিকে আপাতত নজর দেওয়া হচ্ছে।’’ ভারত-ইটালি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাণিজ্যের দিকেও নজর রয়েছে সকলের।
এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ইটালির শিল্পমন্ত্রী অ্যাডলফো উরসো। সংবাদ সংস্থা ‘ব্লুমবার্গ’কে তিনি বলেছেন, ‘‘সমুদ্র বন্দরের পরিকাঠামো উন্নতির পাশাপাশি নয়াদিল্লির সঙ্গে জাহাজ এবং ইয়ট নির্মাণ নিয়েও কথা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিপুল লগ্নির ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে তারা।’’ কটন রুটে দুই দেশই আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের ক্ষেত্রে বিপুল অর্থ ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতে কতটা উৎসাহ দেখাবেন? ইটালির শিল্পমন্ত্রীর মতে, ‘‘কটন রুটে ইউরোপের পাশাপাশি আমেরিকার স্বার্থও লুকিয়ে রয়েছে। ফলে ট্রাম্প মুখ ঘুরিয়ে থাকবেন বলে মনে করছি না।’’
চিনের সিল্ক রুটের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। তবে যে দেশগুলিতে বিআরআই প্রকল্প চলছে, সেগুলির অধিকাংশই ঋণে ডুবে রয়েছে। সেখানে কটন রুট আর্থিক দিক থেকে উন্নত দেশগুলির সহযোগিতায় আত্মপ্রকাশ করবে। এতে পুরোপুরি বাণিজ্য শুরু হলে, বেজিংয়ের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে, তা নিয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy