স্কুলের পড়াশোনার পর লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন সাইরাস। ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের উচ্চশিক্ষা শেষে প্রবেশ লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রির পর লন্ডন বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। সেখানকার পাঠ চুকিয়ে হাসিল করে ইন্টারন্যাশনাল এগজিকিউটিভ মাস্টার্স ইন ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি। তা-ও আবার লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে।
২০১৩ সালে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর কাঁধে টাটাদের বিভিন্ন সংস্থার অতিরিক্ত দায়িত্বও ছিল। তার মধ্যে ছিল, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস, টাটা পাওয়ার, টাটা টেলিসার্ভিসেস, ইন্ডিয়ান হোটেলস, টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস এবং টাটা কেমিক্যালসের মতো সংস্থা।
টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হওয়ার চার বছরের মাথায় আচমকাই ছন্দপতন। ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর সাইরাসকে তাঁর পদ থেকে অপসারিত করে টাটা সন্সের বোর্ড। সে পদে বসানো হয় রতন টাটার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নটরাজন চন্দ্রশেখরনকে। এই ঘটনা নিয়েই শুরু হয় আইনি যুদ্ধ। যার জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যার জেরে টাটা এবং মিস্ত্রিদের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে গিয়েছিল।
টাটাদের সঙ্গে মিস্ত্রিদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক খতিয়ে দেখলে কী নজরে পড়ে? টাটা গোষ্ঠীর হোল্ডিং সংস্থা টাটা সন্সের ১৮.৩৭ শতাংশ ( যা এখন ১৮.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে) অংশীদারি ছিল সাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর (এসপি গোষ্ঠী) হাতে। যার প্রোমোটার ছিল সাইরাস মিস্ত্রির পরিবার। বস্তুত, টাটা সন্সে টাটাদের হাতে থাকা শেয়ারের বাইরে সবচেয়ে বেশি শেয়ার ছিল এসপি গোষ্ঠীর হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy