Donald Trump’s Post on Ayatollah Ali Khamenei sparks controversy on US Troops entering into Iran dgtl
Donald Trump on Iran
নিশানা খামেনেই, ইরানে ঢুকে ‘বিশেষ অপারেশন’ শুরু করে দিয়েছে মার্কিন সেনা? ট্রাম্পের পোস্টে তুঙ্গে জল্পনা
ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে এখনই আমেরিকা ইরান আক্রমণ করবে কি না, সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও সমাজমাধ্যমে করা তাঁর পোস্ট ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ১৫:৩৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
ইরানের কুর্সিবদলে মরিয়া ইজ়রায়েল এবং আমেরিকা। সেই লক্ষ্যে সাবেক পারস্য দেশে নেমে পড়েছে মার্কিন সৈন্য? সেখানে লাগাতার বোমাবর্ষণ করছে পেন্টাগনের বিমানবাহিনী? সমাজমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে উঠেছে সেই জল্পনা। আগুনে ঘি ঢেলেছেন তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির নেতা টেড ক্রুজ়। তাঁর করা মন্তব্যের জেরে ওয়াশিংটনের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
০২১৯
চলতি বছরের ১৭ জুন ইরান ইস্যুতে নিজের সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমরা জানি, ইরানের তথাকথিত ‘শীর্ষনেতা’ (পড়ুন সুপ্রিম লিডার) কোথায় লুকিয়ে আছেন। খুব সহজেই তাঁকে নিশানা করতে পারি। কিন্তু, এখনই তাঁকে বার করে মারতে চাইছি না। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র আমজনতা বা আমেরিকান সৈন্যদের উপরে গিয়ে পড়ুক, তা কখনওই কাম্য নয়।’’ তাঁর এই পোস্টের পরেই দুনিয়া জুড়ে শুরু হয় হইচই।
০৩১৯
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, তবে কি সাবেক পারস্য দেশে সৈন্য নামিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প? ইরানের শিয়া ধর্মগুরু তথা ‘সর্বোচ্চ নেতা’ আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে খুঁজে বার করে নিকেশের কঠিন অপারেশন শুরু করে দিয়েছে সেই বাহিনী? এগুলির কোনওটারই জবাব অবশ্য স্পষ্ট ভাষায় দেননি যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। উল্টে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের ধৈর্য ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মনোযোগের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’’ তেহরানকে ‘শর্তবিহীন আত্মসমর্পণের’ হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
০৪১৯
অন্য দিকে, প্রেসিডেন্টের মতোই ইরান ইস্যুতে টাকার কার্লসনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মার্কিন পার্লামেন্ট তথা কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সেনেটের সদস্য ক্রুজ়। সেখানে হঠাৎই তিনি দাবি করে বসেন, সাবেক পারস্য দেশে বোমাবর্ষণ করছে আমেরিকার বায়ুসেনা। সঙ্গে সঙ্গে কার্লসন পাল্টা প্রশ্ন করলে কিছুটা ঢোঁক গিলে উত্তর পাল্টে ফেলেন ট্রাম্পের দলের ওই সেনেটর। তখন বয়ান বদলে তিনি বলেন, ‘‘আমি আসলে বলতে চাইছি, ইরানে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। তবে সেটা আমাদের সাহায্যে।’’
০৫১৯
গোড়া থেকেই ইজ়রায়েলের কট্টর সমর্থক হিসাবে ট্রাম্প সরকারের পরিচিতি রয়েছে। ইহুদিদের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্টও ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির ঘোর বিরোধী। এই ইস্যুতে তেল আভিভ এবং তেহরানের মধ্যে সংঘাত তীব্র হতেই তড়িঘড়ি কানাডার জি-৭ বৈঠক থেকে ওয়াশিংটনে ফেরেন ট্রাম্প। তার পর নিরাপত্তা বিষয়ক ‘ক্যাবিনেট সদস্য’দের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক সারেন তিনি। পাশাপাশি, সমাজমাধ্যমে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে ট্রাম্পের সে সব হুমকিকে আমল দিতে নারাজ খামেনেইয়ের শিয়া ফৌজ।
০৬১৯
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ইরানে এখনও পর্যন্ত পা রাখেনি মার্কিন সেনা। তবে পশ্চিম এশিয়ার আমেরিকার ঘাঁটিগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। সাবেক পারস্য দেশ লাগোয়া দু’টি বড় ছাউনি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সেগুলি হল, কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি, সেন্ট্রাল কমান্ডের আঞ্চলিক সদর দফতর এবং কুয়েতের সেনাছাউনি। এ ছাড়া ইরাকেও বিপুল সেনা মোতায়েন রেখেছে পেন্টাগন। সব মিলিয়ে ৪০ হাজারের বিরাট বাহিনী সাবেক পারস্য দেশটিকে ঘিরে রয়েছে বলে খবর সূত্রের।
০৭১৯
কিছু দিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে পশ্চিম এশিয়ার ঘাঁটিগুলি থেকে সৈন্যসংখ্যা হ্রাস করে পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘ওই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করা হয়নি। সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষাব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, আশপাশের আমেরিকান ছাউনিগুলিকে উচ্চ গতির হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নিশানা করতে পারে তেহরান। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য নিহত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। বর্তমানে এই ভয়টাই পাচ্ছেন আমেরিকার ফৌজি জেনারেলরা।
০৮১৯
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ আবার মনে করেন, ট্রাম্পের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া বেশ কঠিন। কারণ, তাঁর নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই এই নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তাঁদের যুক্তি, ইজ়রায়েলকে প্রয়োজনমতো হাতিয়ার, গোলা-বারুদ এবং রসদ সরবরাহ করুক ওয়াশিংটন। কারণ, পশ্চিম এশিয়ার লড়াইয়ে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়লে একেবারেই চুপ করে থাকবে না রাশিয়া ও চিন। সে ক্ষেত্রে আরও বড় এলাকা জুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সেই আঁচে পুড়বে মার্কিন অর্থনীতিও।
০৯১৯
ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে চেয়ে শান্তির বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও কিছুই চাপিয়ে দিচ্ছি না। শুধুমাত্র জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাব্য উপায় খুঁজতে বলছি। তবে এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই তেহরান এবং তেল আভিভের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছার উপরে নির্ভর করবে। সংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্বের সমাধান পাওয়া কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।’’
১০১৯
পুতিনের এই মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, আগামী দিনে মস্কোর থেকে ইরানের ‘সব রকমের’ সাহায্য পাওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ। তবে সাবেক পারস্য দেশের ‘সর্বোচ্চ নেতা’ আলি খামেনেইকে ইহুদি ও মার্কিন সেনা খতম করলে, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি ক্রেমলিন। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে পুতিন বলেন, ‘‘এই ধরনের কোনও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না।’’
১১১৯
বিশ্লেষকদের দাবি, মস্কোর দিক থেকে বিপদ কমলেও আমেরিকার রক্তচাপ বাড়াতে পারে চিন। বেজিঙের দিক থেকে দ্বিমুখী চাপ তৈরির আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ওয়াশিংটনের ফৌজি জেনারেলরা। কারণ, ইরানে খামেনেই-রাজের পতন হলে পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ায় ধাক্কা খাবে ড্রাগনের বিস্তারবাদী নীতি। সূত্রের খবর, সেই কারণেই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মালবাহী সামরিক বিমানে করে বিপুল পরিমাণে হাতিয়ার তেহরানে ইতিমধ্যেই পাঠাতে শুরু করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও পক্ষ কোনও বিবৃতি দেয়নি।
১২১৯
দ্বিতীয়ত, ইরানকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা থেকে বিমানবাহী রণতরী-সহ একগুচ্ছ যুদ্ধজাহাজকে পারস্য উপসাগরের দিকে রওনা করিয়েছে পেন্টাগন। ফলে বেশ কিছুটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারে চিন। শুধু তা-ই নয়, বেজিঙের ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ নৌবাহিনী মলাক্কা প্রণালী বন্ধ করলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ঢোকা কঠিন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের। তেহরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামার আগে এগুলিই ট্রাম্প প্রশাসনের মূল মাথাব্যথা, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
১৩১৯
আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে মধ্যবর্তী রাস্তা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। যুদ্ধে না জড়িয়ে ইরানের সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, সম্ভাব্য বিকল্পগুলি নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র হামলা করা মানেই যে অন্য দু’টি দেশের যুদ্ধে সম্পূর্ণ ভাবে ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করছে, এমন ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই, বলেছেন ওই আধিকারিক।
১৪১৯
তবে ট্রাম্পের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হতে পারে। কারণ, আমেরিকা হামলা করলেই প্রত্যাঘাত যে হবে সেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইরান। গত ১৮ জুন সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি করতেও পারি, আবার না-ও করতে পারি। আমি কী করতে চলেছি, তা কেউই জানে না। কোনও কিছু চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এক সেকেন্ড আগে সিদ্ধান্ত নিতে আমি পছন্দ করি। বিশেষ করে যুদ্ধের ক্ষেত্রে। সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে থাকে। একটি অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত একটি অবস্থানেও বিষয়টি চলে যেতে পারে।’’
১৫১৯
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’ জানিয়েছে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে ইরানে আক্রমণ চালাবে আমেরিকা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওভাল অফিসের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সব কিছু ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই ভাল খবর মিলবে। তবে শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বদলানো হতে পারে।’’ অন্য দিকে, খামেনেইকে শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা চেয়েছে ইজ়রায়েল। কারণ, ইরানের ‘সর্বোচ্চ নেতা’ ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন বলে গুপ্তচর মারফত খবর পেয়েছে ইহুদি সেনা।
১৬১৯
গত ১৩ জুন সাবেক পারস্য দেশের একাধিক পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটিতে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা হামলা চালানোর পর দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ইহুদিরা এই অভিযানের নাম রেখেছে ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’। তাঁদের ওই আক্রমণের পর প্রত্যাঘাত শানাতে পাল্টা তেল আভিভ-সহ একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি শুরু করে শিয়া ফৌজ। এই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’ বলে ঘোষণা করেছে ইরানি সেনা।
১৭১৯
যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক শিয়া সেনার একাধিক পদস্থ সেনা অফিসারকে নিকেশ করেছে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা। এ ছা়ড়া প্রাণ গিয়েছে ইরানের একগুচ্ছ প্রথম সারির পরমাণু বিজ্ঞানীর। ইহুদি বিমানবাহিনীর দাবি, সাবেক পারস্য দেশটির আকাশে দখল রয়েছে তাঁদের। একই কথা শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের গলাতেও। যদিও তা মানতে নারাজ তেহরান।
১৮১৯
অন্য দিকে, ইজ়রায়েলের শহরগুলিকে নিশানা করতে আসরে নেমেছে খামেনেইয়ের অত্যন্ত বিশ্বস্ত আধা সামরিক বাহিনী ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ বা আইআরজিসি। তাঁদের ছোড়া হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ঠেকাতে পারেনি ইহুদিদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স। ফলে তেল আভিভ, হাইফা-সহ সেখানকার একাধিক শহরের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিপুল সংখ্যক আমজনতাকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
১৯১৯
ইরানে আলি খামেনেইয়ের শাসন উপড়ে ফেলার আগে পর্যন্ত ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ বন্ধ হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে ইজ়রায়েল। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাল্টা হুমকি দিয়েছে তেহরানও। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা লড়াইয়ে জড়ালে সৌদি আরব-সহ অন্যান্য আরব মুলুকের তৈলক্ষেত্রগুলি নিশানা করতে পারে আইআরজিসি। সে ক্ষেত্রে আকাশ ছোঁবে খনিজ তেলের দাম। দুনিয়া জুড়ে বাড়ছে সেই আতঙ্ক।