অন্য দিকে, ইতিমধ্যেই কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি সংস্থাকে ছাড়পত্র দিয়েছে ট্রাই। সেগুলি হল, ওয়ানওয়েব এবং জিয়ো-এসইএস। দু’টি সংস্থার কেউই স্পেকট্রাম পায়নি। ফলে ওই পরিষেবা চালু করতে পারেনি তারা। স্পেকট্রাম কী ভাবে দেওয়া হবে এবং তার জন্য কত টাকা দিতে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। সূত্রের খবর, চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব কিছু চূড়ান্ত করবে ট্রাই।
বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ভারতেই রয়েছে। এ বার সেই বাজার দখলের লড়াইয়ে নামছে মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ক। এই সংস্থার নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। যার মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে টেসলা-কর্তার সংস্থা। আর তাই স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু করা নিয়ে সরকারের ফের ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন বলে সতর্ক করেছে কূটনীতি ফাউন্ডেশন।
বর্তমানে ভারতের ব্রডব্যান্ড বাজারের একটা বড় অংশ দখল করে রেখেছে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স জিয়ো। এর প্রায় ১.৪ কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছেন। আর জিয়োর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংস্থা ৫০ কোটির বেশি। অম্বানীর সংস্থার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হল ভারতী এয়ারটেল। তাদের ৩০ কোটির বেশি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন।
বছর কয়েক আগে ইজ়রায়েলি স্পাইঅয়্যার ‘পেগাসাস’কে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। ওই সময়ে মোবাইল ফোনে ‘আড়ি পাতা’ হচ্ছে বলে সরব হন বিরোধী নেতা-নেত্রীদের একাংশ। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। স্টারলিঙ্ক এ দেশে ব্যবসা শুরু করলে তেমনই কিছু হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের আবার দাবি, মাস্কের সংস্থা ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া শুরু করলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে রিলায়্যান্স জিয়ো। ফলে টেলিকমের দুনিয়ায় নিজের প্রভাব বজায় রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করতে পারে এই সংস্থা। আর তখনই মাস্ক ও অম্বানী— বিশ্বের দুই ধনকুবেরের মধ্যে টেলিকম নিয়ে প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ পাবে আমজনতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy