Advertisement
০৮ জুলাই ২০২৫
US on Pakistan’s Army Chiefs

জিয়া, মুশারফ থেকে মুনির, কেন বার বার পাক ‘সিপাহসালার’দের তোষামোদ? ইরান-বধে ‘মীরজাফরের’ খোঁজ পেল আমেরিকা?

আয়ুব খান, জ়িয়া-উল-হক থেকে শুরু করে পারভেজ় মুশারফ হয়ে হালফিলের আসিম মুনির। বরাবরই আমেরিকার ‘নয়নের মণি’ হয়ে থেকেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধানেরা। কিন্তু কেন?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৫ ০৮:০০
Share: Save:
০১ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসলামাবাদের ফৌজি জেনারেলের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। সূত্রের খবর, সেখানে ট্রাম্পের তোষামোদ করেছেন মুনিরও। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্টের এ-হেন ‘পাকিস্তান-প্রেম’কে সন্দেহের চোখে দেখছেন প্রতিরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। রাওয়ালপিন্ডির ‘সিপাহসালার’কে বিশেষ কোনও কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন।

০২ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

বিশ্লেষকদের এই সন্দেহ কিন্তু একেবারেই অমূলক নয়। কারণ, অতীতে বহু বার পাকিস্তানকে নিজের প্রয়োজনে ইচ্ছেমতো ‘ব্যবহার’ করেছে আমেরিকা। কাজ ফুরিয়ে গেলে ইসলামাবাদকে ছুড়ে ফেলতে দু’বার ভাবেনি ওয়াশিংটন। আর ঠিক সেই কারণে ভারতের পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটিতে গণতন্ত্রের শিকড় মজবুত হোক, যুক্তরাষ্ট্রের তা ‘না-পসন্দ’। উল্টে সেখানকার সেনাশাসকদের বরাবর খাতির করে এসেছে মার্কিন সরকার। পূর্বসূরিদের দেখানো সেই পথেই ট্রাম্প ফের হাঁটলেন বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

০৩ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

রিপাবলিকান দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যে ফের একবার পাকিস্তানকে ‘ব্যবহার’ করতে চাইছেন তাঁর ইঙ্গিত অবশ্য প্রকাশ্যেই দিয়েছেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠানের পর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘ইরানকে খুব ভাল ভাবে চেনে ইসলামাবাদ। ওদের অনেক কিছুই ভাল লাগছে না। এটা ঠিক নয় যে, ইজ়রায়েলের সঙ্গে ওদের সম্পর্ক খারাপ। পাকিস্তান দু’দেশের সম্পর্কেই অবগত। তবে ওরা ইরানকে বেশি ভাল করে চেনে।’’ ওই সময় তাঁর পাশেই ছিলেন ফিল্ড মার্শাল মুনির।

০৪ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের আবহে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে পাক সেনাপ্রধানকে দলে টানতে চাইছেন ট্রাম্প। আমেরিকা যদি সরাসরি এই যুদ্ধে যোগ দেয়, তা হলে সাবেক পারস্য দেশের পূর্বের প্রতিবেশী মুলুকটিতে ঘাঁটি তৈরি করলে অনেকটাই সুবিধা পাবে মার্কিন সৈন্য। তা ছাড়া ইসলামাবাদকে ব্যবহার করে তেহরানের বিরুদ্ধে ‘ছায়াযুদ্ধ’ চালানোর চেষ্টাও করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবাহিনী সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি)।

০৫ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

চলতি বছরের ১৮ জুন ফিল্ড মার্শাল মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর পর হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুমে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শামিল হন তাঁরা। ওই বৈঠক ঘণ্টাখানেক হওয়ার কথা থাকলেও দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তা চলেছে বলে জানা গিয়েছে। পরে এই নিয়ে বিবৃতি দেয় পাক সেনা। সেখানে বলা হয়, বৈঠকে ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের প্রসঙ্গও উঠেছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফিল্ড মার্শাল মুনির দু’জনেই মনে করেন যে এই বিবাদ শীঘ্রই মিটে যাওয়া প্রয়োজন।

০৬ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

ট্রাম্প-মুনিরের বৈঠক নিয়ে পাক সেনার এই বিবৃতির পর প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের অনেকেই দু’য়ে দু’য়ে চার করছেন। তাঁদের অনুমান, খুব শীঘ্রই মার্কিন বাহিনীর জন্য দেশের দরজা খুলে দেবেন ইসলামাবাদের ‘সিপাহসালার’। সেই কারণেই আমেরিকার থেকে বিরল সম্মান পেয়েছেন তিনি। মুনিরের পূর্বসূরিদের মধ্যে আয়ুব খান, জ়িয়া-উল-হক এবং পারভেজ় মুশারফ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের থেকে এই ধরনের মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান ফিল্ড মার্শালের সঙ্গে তাঁদের একটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে।

০৭ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

আয়ুব, জ়িয়া এবং মুশারফ সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের শাসনক্ষমতা দখল করেন। এর পর রাষ্ট্রপ্রধান পদে আসীন হলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডাকে ভোজসভায় যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। প্রত্যেককেই কোনও না কোনও ভাবে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন। অন্য দিকে, সেনাপ্রধান থাকা অবস্থাতেই এই বিরল সম্মান পেলেন মুনির। বিশ্লেষকদের দাবি, এতেই প্রমাণিত পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং তাঁর ক্যাবিনেটের কোনও গুরুত্ব নেই ওয়াশিংটনের কাছে। ইসলামাবাদের ‘আসল সরকার’কে ডেকে এনে বৈঠক করলেন ট্রাম্প।

০৮ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

১৯৫৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জ়াকে সরিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান আয়ুব খান। ওই সময় আমেরিকা এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) মধ্যে চলছিল ‘ঠান্ডা লড়াই’। ভারত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন শুরু করলেও মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছিল নয়াদিল্লি। ফলে ওয়াশিংটনের মনে দানা বাঁধে সন্দেহ। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার নামে ইসলামাবাদকে নিজেদের জোটে শামিল করতে সক্ষম হয় মার্কিন সরকার।

০৯ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

১৯৭৯ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য দিকে মোড় নেয়। হিন্দুকুশের কোলের দেশটি থেকে রাশিয়াকে তাড়াতে কোমর বেঁধে লেগে পড়ে মার্কিন গুপ্তচরবাহিনী সিআইএ। তাদের অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন সাইক্লোন’। এর জন্য পাকিস্তানের মাটিকে যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করে তারা। সিআইএ-র এই অভিযান শুরু হওয়ার আগে সস্ত্রীক আমেরিকা সফরে যান ইসলামাবাদের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ়িয়া। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

১০ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

পরবর্তী দশকগুলিতে সিআইএ-র সহযোগিতায় পাক গুপ্তচরবাহিনী আইএসআই (ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স) আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে দিতে সক্ষম হয়। তাঁদের হাত ধরেই জন্ম নেয় ‘মুজাহিদিন’ বা ধর্মযোদ্ধা নামের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই গোটা পরিকল্পনার মূল চক্রী ছিলেন ইসলামাবাদের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ়িয়া। ওই সময় আমেরিকাকে পাশে পাওয়ায় দ্রুত পরমাণু হাতিয়ার তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি। পাশাপাশি, জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন জ়িয়া।

১১ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

পাক প্রেসিডেন্টের ভারত-বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার বিষয়টি অবশ্য ভালই বুঝতে পেরেছিল আমেরিকা। কিন্তু, সব জেনেও চোখ বুজে ছিল ওয়াশিংটন। ১৯৮৮ সালে রহস্যজনক ভাবে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জ়িয়ার। ঠিক তার পরের বছরই আফগানিস্তানের আমু দরিয়া পেরিয়ে নিজের দেশে ফিরে যায় সোভিয়েত বাহিনী। রুশ ফৌজ চলে যাওয়ার পরও ‘কাবুলিওয়ালার দেশে’ বন্ধ হয়নি গৃহযুদ্ধ। সেখানকার সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়াতেও।

১২ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী হামলা চালায় কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী ‘আল কায়দা’। চারটি বিমান ছিনতাই করে নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার) এবং পেন্টাগনের মতো সুউচ্চ ইমারতে ধাক্কা মারে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের ১৯ সন্ত্রাসবাদী। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় তিন হাজার জনের। গুরুতর আহত হন আরও ছ’হাজার মানুষ। এর পরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আফগানিস্তান আক্রমণ করে বসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

১৩ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

৯/১১-র আত্মঘাতী হামলার পর ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসে একটা নাম। সেটা হল, ওসামা বিন লাদেন। আল কায়দার এই শীর্ষনেতা ওই সময় লুকিয়ে ছিলেন আফগানিস্তানে। তাঁকে নিকেশ করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমেরিকা। হিন্দুকুশের কোলের দেশটি স্থলবেষ্টিত হওয়ায় তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের ডাক পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

১৪ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

আফগানিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন মুশারফের থেকে কম সাহায্য পায়নি আমেরিকা। দক্ষিণ পাকিস্তানের করাচির বিন কাশেম বন্দর এক রকম খুলে দেন তিনি। লড়াইয়ের সময় সেখান থেকে হাতিয়ার, গোলা-বারুদ এবং রসদ আফগানিস্তানের রণাঙ্গনে নিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী। পূর্বসূরি জ়িয়ার মতোই ‘জিহাদ’ বা ধর্মযুদ্ধের নামে হিন্দুকুশের কোলের দেশটিতে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ ভালই করেছিলেন মুশারফ। পাশাপাশি, এর আঁচ লেগেছিল জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবেও।

১৫ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

পাকিস্তানকে এ ভাবে বার বার ব্যবহার করার নেপথ্যে দেশটির ভৌগোলিক অবস্থানকে মূলত দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। পশ্চিমে ইরানের সঙ্গে এর ৯০৯ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ঠিক দক্ষিণে থাকা স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তান সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২,৬৪০ কিলোমিটার। খনিজ তেল সমৃদ্ধ আরব দুনিয়া থেকে এর দূরত্ব খুব বেশি নয়। আর তাই ব্রিটিশদের কাছে ইসলামাবাদ ছিল ‘শক্তি কূপ’।

১৬ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক হুসেন ওবামা এবং জো বাইডেনের সময় পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছিল। প্রথম পর্বে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্পও বেজায় খাপ্পা ছিলেন ইসলামাবাদের উপর। তিনি সে দেশে ২০০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেন। কিন্তু দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হয়েই তাঁর মুনিরের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আফগানিস্তানের মতোই ইরানকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে সক্ষম হয়েছে ইসলামাবাদ।

১৭ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুখে অবশ্য খোলাখুলি ভাবে ইরানকে সমর্থন করার কথা বলতে শোনা গিয়েছে। পাক পার্লামেন্টে ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে এই নিয়ে আলোচনাও করেছেন তিনি। ফিল্ড মার্শাল মুনিরও মুখে তেহরানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু, ইসলামাবাদ দ্রুত সাবেক পারস্য দেশের দিকের সীমান্ত বন্ধ করায় এই সমস্ত কিছু নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

১৮ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই ইরানের পার্লামেন্টে প্রকাশ্যে পোড়ানো হয় মার্কিন পতাকা। সেখানে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান শোনা গিয়েছে। গত ১৫ জুন একটি সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক দাবি করেন তেহরানের আধা সেনা ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ বা আইআরজিসির কমান্ডার ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সিনিয়র জেনারেল মোহসেন রেজ়াই। তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদি ইজ়রায়েল আমাদের উপর পারমাণবিক বোমা ফেলে, তা হলে তারাও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ইহুদিভূমিতে আক্রমণ শানাবে।’’

১৯ ১৯
From Zia ul Haq Pervez Musharraf to Asim Munir, why US Presidents preferred Pakistan’s army chiefs

শিয়া ফৌজের কমান্ডারের ওই মন্তব্যের পর দুনিয়া জুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। ফলে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপের মুখে পড়ে ইসলামাবাদ। এর পর তেহরানের ওই দাবি খারিজ করে দেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধে জড়ালে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের অবস্থান শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy