গ্রামের এক রাজনৈতিক এবং সমাজকর্মী মোক্ষ গুনাভালাগান জানিয়েছেন, ট্যাঙ্কের ঢাকনাটি খোলা ছিল। ট্যাঙ্কের নীচের জমিতে যে বেড়া এবং তালাবন্ধ গেটের ব্যবস্থা ছিল, তা-ও ভাঙা ছিল। কিন্তু বিষয়টি খেয়াল করেননি কেউই। তবে অনুমান, অন্তত ৭ দিন আগে ঘটেছে ঘটনাটি। কারণ তখনই প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়েছিল গ্রামের এক শিশু। তার পরও যদিও ওই জল পান করা বন্ধ করেননি গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ গ্রামে জাতপাতের ভেদাভেদ এবং ছুঁৎমার্গের সংস্কার চলে আসছে অন্তত তিন প্রজন্ম ধরে। এই সংস্কারের জন্যই আজ অবধি মন্দিরে গিয়ে ভগবানের মূর্তির মুখদর্শন করতে পারেননি গ্রামের তরুণ-তরুণীদের অনেকেই। এমনকি, জন্ম থেকেই চায়ের দোকানে ভিন্ন কাপের বন্দোবস্ত দেখে আসছেন অনেক মধ্যবয়সীও।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১০০ বছর আগে ভারত স্বাধীন হওয়ারও আগে রামাস্বামী পেরিয়ার এই তামিলনাড়ুতেই দলিতদের মন্দিরে প্রবেশাধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলন পরে পেরিয়ার আন্দোলন হিসাবে জনপ্রিয় হয়। পরে ব্রাহ্মণ-অব্রাহ্মণ ছুঁৎমার্গের বিরুদ্ধেও শুরু হয় দ্রাবিড়ীয় আন্দোলন, যা স্বাধীনতা উত্তর তামিলনাড়ুতে পরবর্তীকালে রাজনীতিকেও প্রভাবিত করে। সেই ভূমিতেই এই জাতিবিদ্বেষের ঘটনা তাই আরও বেশি বিস্ময় জাগাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy