Advertisement
১৭ জুলাই ২০২৫
Israel Iran Conflict

মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণায় আরবভূমিতে ‘ধুলোর ঝড়’! বিপদের ‘গন্ধ’ পেয়ে শিয়া-সংহারে ইহুদিরা?

পশ্চিম এশিয়া থেকে ধীরে ধীরে বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই সিদ্ধান্তের জেরেই কি ফের অশান্তির আগুনে পুড়তে শুরু করল আরব দুনিয়া? ইজ়রায়েল-ইরান সংঘাতে তীব্র হচ্ছে সেই জল্পনা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ১০:১৬
Share: Save:
০১ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

পশ্চিম এশিয়ায় ফের ঘনাচ্ছে যুদ্ধের কালো মেঘ। শিয়া বনাম ইহুদিদের মুখোমুখি সংঘর্ষে সমগ্র আরবভূমির মাটি রক্তে লাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর জন্য অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্তকেই দুষছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। কারণ, সঙ্কটকালে এই এলাকা থেকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ কর্মী ও সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাশ আলগা হলে সেখানে অস্থিরতা যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।

০২ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

চলতি বছরের ১১ জুন কেনেডি সেন্টারে বক্তৃতা দেওয়ার সময় পশ্চিম এশিয়ার প্রসঙ্গ তোলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকা থেকে দ্রুত সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। কারণ, পশ্চিম এশিয়া ক্রমশ বিপজ্জনক জায়গা হয়ে উঠছে।’’ তাঁর ওই মন্তব্যের এক দিনের মাথাতেই ইরানে বিমান হামলা চালায় ইজ়রায়েল। এতে পারস্য উপসাগরীয় দেশটির শিয়া ফৌজ ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ বা আইআরজিসির বেশ কয়েক জন পদস্থ অফিসার এবং অন্তত ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ফেরেউদুন আব্বাসি।

০৩ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

ইতিমধ্যেই ‘ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স’ বা আইডিএফ-কে এ-হেন অতর্কিত আক্রমণের পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। ফলে দু’পক্ষের যুদ্ধ এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করেছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতির নেপথ্যে মূলত দু’টি কারণকে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। পশ্চিম এশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য সরালে নিরাপত্তায় আঁচ আসবে বুঝতে পেরেই কি ইরানে এত বড় আঘাত হানল ইহুদি ফৌজ? এই প্রশ্নে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।

০৪ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ইজ়রায়েলের এই আশঙ্কা একেবারেই অমূলক নয়। কারণ, আরব দুনিয়া থেকে আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহার করলে সেখানে পা জমানোর চেষ্টা করবে রাশিয়া এবং চিন। এতে পিছন থেকে ইরানের মদত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই ইহুদিভূমিকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চাইছে তেহরান। শিয়া মুলুকটির মূল সমর্থন রয়েছে প্যালেস্টাইনের দিকে। এর জন্য ইজ়রায়েলকে মান্যতাই দেয়নি তারা।

০৫ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

দ্বিতীয়ত, ইরানকে বাদ দিলে আরবভূমিতে ইজ়রায়েলের শত্রুসংখ্যা নেহাত কম নয়। গত শতাব্দীর ’৬০ এবং ’৭০-এর দশকে বেশ কয়েক বার প্রতিবেশী সিরিয়া, জর্ডন এবং লেবাননের সঙ্গে লড়তে হয়েছে আইডিএফ-কে। কিন্তু, ’৯০ দশক থেকে ওই এলাকায় আমেরিকা বাহিনী মোতায়েন রাখায় সব সময় প্রচ্ছন্ন সাহায্য পেয়েছে ইহুদি ফৌজ। তাদের উপর আক্রমণ শানানোর আগে দু’বার ভাবতে হত এই সমস্ত দেশগুলিকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফৌজ সরলে এদের ফের এককাট্টা হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না তেল আভিভ। সে ক্ষেত্রে ইরানের নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।

০৬ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

২০১১ সালে ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা। বাগদাদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সরতেই সেখানে শিকড় মজবুত করে ফেলে ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠী। গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। ফলে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।

০৭ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

বিদ্রোহীরা দামাস্কাসের দখল নিলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন আসাদ। টানা ৫০ বছর পশ্চিম এশিয়ার দেশটির শাসনভার ছিল আসাদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে। অন্য দিকে, বাশার সরতেই আহমেদ আল-শারাকে ক্ষমতায় বসায় বিদ্রোহীরা। একটা সময়ে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল কায়দা’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তাঁর। শারার শাসনে সিরিয়ায় আইসিস জঙ্গিদের দাপট বৃদ্ধির খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের আরও বাহিনী প্রত্যাহারের খবরে প্রমাদ গুনছে ইজ়রায়েল।

০৮ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

এ ছাড়া পশ্চিম এশিয়া থেকে ইহুদিদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতে প্যালেস্টাইনপন্থী বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সরাসরি সমর্থন করে থাকে ইরান। এর মধ্যে রয়েছে গাজ়ার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লা এবং ইয়েমেনের হুথি। গত দেড় বছর ধরে চলা যুদ্ধে এই তিন গোষ্ঠী একাধিক বার সরাসরি তেল আভিভের বুকে আক্রমণ হেনেছে। পাল্টা প্রত্যাঘাত শানিয়ে তাদের কোমর ভাঙতে অনেকাংশে সমর্থ হয় ইজ়রায়েল। আর তাই আমেরিকা ফৌজ প্রত্যাহারের আগেই ‘বিষাক্ত সাপের’ মাথা থেঁতলে দিতে তেহরানকে নিশানা করল আইডিএফ, মত বিশ্লেষকদের।

০৯ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

পাশাপাশি, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়া ইস্তক পরমাণু চুক্তি করতে ইরানকে ক্রমশ চাপ দিয়ে চলেছে আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের সাফ কথা, কোনও ভাবেই আণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না তেহরান। অন্য দিকে, শিয়া মুলুকটিও এ ব্যাপারে নাছোড়বান্দা। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ বন্ধ করতে নারাজ সেখানকার সেনা ও সরকার। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, বর্তমানে পরমাণু হাতিয়ার তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে ইরান। সেই কারণে আমেরিকার চাপে কিছুতেই পিছিয়ে আসতে চাইছে না তেহরান।

১০ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

এই পরিস্থিতে ‘স্পর্ধিত’ ইরানের মাথা নিচু করাতে কম চেষ্টা করেনি যুক্তরাষ্ট্র। পারস্য উপসাগরের কোলের দেশটির উপর জারি রেখেছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। ট্রাম্পের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সমাধানসূত্র পেতে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয় তেহরান। দু’তরফে বেশ কয়েক দফায় কথাবার্তাও হয়। আগামী ১৫ জুন ওমানে ষষ্ঠ দফার আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে শিয়া মুলুকটিকে আদৌ বাগে আনা যাবে কি না, তা নিয়ে ওয়াশিংটনের মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

১১ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের বড় অংশই মনে করেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হলে প্রথমেই তা ব্যবহার হবে ইজ়রায়েলের উপরে। দ্বিতীয় দফায় আমেরিকাকে নিশানা করতে পারে তারা। সেই কারণে ওয়াশিংটনের নির্দেশে তেহরানকে নিশানা করেছে ইহুদি ফৌজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথায় মিলেছে সেই ইঙ্গিত। পরমাণু চুক্তিতে রাজি না হলে চরম পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা।

১২ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজ়ের দাবি, ইজ়রায়েল যে ইরানের উপর হামলা চালাতে পারে, এ ব্যাপারে আগে থেকে জানতেন ট্রাম্প। সম্ভবত সে কারণেই পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে মার্কিন আধিকারিকদের সরিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন। যদিও তা অস্বীকার করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। তাঁর কথায়, ‘‘এই হামলার ঘটনায় আমরা জড়িত নই। ইজ়রায়েল আমাদের জানিয়েছে যে, তারা বিশ্বাস করে আত্মরক্ষার স্বার্থে এই বিমানহানা জরুরি ছিল।’’

১৩ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

চলতি বছরের ১৩ জুন মধ্যরাতে ইরানের একাধিক পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ছাউনিকে নিশানা করে আইডিএফ। এই অভিযানের কোড নেম ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ রেখেছে ইহুদি ফৌজ। সংশ্লিষ্ট হামলায় প্রাণ হারান আইআরজিসির কমান্ডার হোসেন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অফ স্টাফ) মেজর জেনারেল মহম্মদ হোসেন বাগেরি এবং ডেপুটি কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ। শিয়া ফৌজের এই প্রথম দুই সেনাকর্তার মধ্যে মতের খুবই মিল ছিল। দু’জনেই ছিলেন আমেরিকার তীব্র সমালোচক এবং কট্টর ধর্মীয় শাসনের গোঁড়া সমর্থক।

১৪ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

সালামি এবং বাগেরি— দু’জনই ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। শুধু সেনাবাহিনীতে নয়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল দুই সেনাকর্তার, বিশেষত সালেমির। রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন— একযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাঁর উপর। তবে তাতেও দমানো যায়নি। রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ‘ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা’কে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে বহু বার তাঁকে এ কথা বলতেও শোনা গিয়েছিল।

১৫ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

১৯৬০ সালে পারস্য উপসাগরের কোলের ইসফাহান প্রদেশের গোলপায়েগানে জন্মগ্রহণ করেন সালেমি। ইরান-ইরাক যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক পরেই শিয়া ফৌজে যোগ দেন তিনি। পরে কমান্ডার হয়ে কারবালা এবং ১৪তম ইমাম হুসেন বিভাগকে নেতৃত্বও দেন সালামি। ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরান সেনার যৌথবাহিনীর কার্যনির্বাহী প্রধান হিসাবে দায়িত্বভারও ছিল তাঁর কাঁধে। তেহরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সালামির ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

১৬ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

অন্য দিকে, ১৯৮০ সালে আইআরজিসিতে যোগ দেন বাগেরি। ইরান-ইরাক যুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেন তিনি। ২০১৬ সালে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পদে উন্নীত হন বাগেরি। ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শিয়া মুলুকটিতে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন দানা বেঁধে উঠলে কঠোর হাতে তা দমন করেন ইরানি বাহিনীর এই সেনাকর্তা। ওই সময়ে নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

১৭ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ দাবি করেছে, আমেরিকার সাহায্য ছাড়া ইজ়রায়েলের পক্ষে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো সম্ভব নয়। পারস্য উপসাগরীয় দেশটির কয়েকটি পরমাণুকেন্দ্র মাটির অনেক গভীরে রয়েছে। সেখানে হামলা চালানোর জন্য বিশেষ বোমার প্রয়োজন। সেটা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের থেকেই পেতে পারে আইডিএফ।

১৮ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

ইজ়রায়েলের ওই আক্রমণ সামলে উঠে প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘ইহুদিরা যেন খারাপ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকে।’’ তার পরেই তেল আভিভকে নিশানা করে একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের অনুমান, শিয়া ফৌজ ঠেকাতে আমেরিকার সাহায্য চাইতেই পারে ইজ়রায়েল। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশকে সাহায্য করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, অতীতেও এ ঘটনা ঘটেছে।

১৯ ১৯
Israel Iran war may escalate heavily due to military pull out of US from West Asia

বর্তমানে পশ্চিম এশিয়ার মূলত তিনটি দেশ থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা শুরু করেছে ওয়াশিংটন। সেই তালিকায় আছে ইরাক, বাহারিন এবং কুয়েত। আগামী দিনে এই আরব মুলুকগুলি থেকে আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহার করলে ইজ়রায়েল এবং ইরানের মধ্যে বাড়তে পারে যুদ্ধের ঝাঁজ। এর প্রভাব পারস্য উপসাগর, ওমান সাগর এবং হরমুজ় সাগরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে এই এলাকা দিয়ে পণ্য পরিবহণে মালবাহী জাহাজগুলিকে নিয়ে বিশেষ অ্যাডভাইসরি জারি করেছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স-সহ একাধিক দেশ।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy