Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
India pakistan war

এর আগে কতবার ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জানেন?

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় বায়ুসেনা প্রত্যাঘাত হেনেছে পাক আশ্রিত জঙ্গি ঘাঁটিগুলির উপর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের বালাকোট সেক্টরে জইশের প্রধান প্রশিক্ষণ শিবির।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫০
Share: Save:
০১ ১০
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় বায়ুসেনা প্রত্যাঘাত হেনেছে পাক আশ্রিত জঙ্গি ঘাঁটিগুলির উপর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের বালাকোট সেক্টরে জইশের প্রধান প্রশিক্ষণ শিবির। পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানও। তবে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের ইতিহাসটা অনেক পুরনো। এর আগেও বহুবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় বায়ুসেনা প্রত্যাঘাত হেনেছে পাক আশ্রিত জঙ্গি ঘাঁটিগুলির উপর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের বালাকোট সেক্টরে জইশের প্রধান প্রশিক্ষণ শিবির। পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানও। তবে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের ইতিহাসটা অনেক পুরনো। এর আগেও বহুবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

০২ ১০
১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাস, সবেমাত্র দু’টি দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই সময় থেকেই কাশ্মীর নিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত।

১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাস, সবেমাত্র দু’টি দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই সময় থেকেই কাশ্মীর নিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত।

০৩ ১০
১৯৬৫ সালের অগস্ট মাস। শুধুমাত্র কাশ্মীর নয়, গুজরাতের কচ অঞ্চল নিয়েও সংঘাত তৈরি হয়। ৯ এপ্রিল পাক সেনাবাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করে এবং দাবি করে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঞ্জারকোটের পাকিস্তানি চৌকি আক্রমণ করেছে। আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর পঞ্জাব ফ্রন্ট খোলার পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী। সেই সংঘাতেও জয়ী হয় ভারতই।

১৯৬৫ সালের অগস্ট মাস। শুধুমাত্র কাশ্মীর নয়, গুজরাতের কচ অঞ্চল নিয়েও সংঘাত তৈরি হয়। ৯ এপ্রিল পাক সেনাবাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করে এবং দাবি করে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঞ্জারকোটের পাকিস্তানি চৌকি আক্রমণ করেছে। আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর পঞ্জাব ফ্রন্ট খোলার পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী। সেই সংঘাতেও জয়ী হয় ভারতই।

০৪ ১০
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর। ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে একের পর এক পাক ফাইটার জেট। পাক বিমানহানার পরই বিশেষ জরুরি বৈঠক ডেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। রাতেই পাক বিমানহানার প্রত্যুত্তর দেয় ভারতীয় বিমানবাহিনী। সেই ’৭১-এর ডিসেম্বরে ১৪ দিনের যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর। ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে একের পর এক পাক ফাইটার জেট। পাক বিমানহানার পরই বিশেষ জরুরি বৈঠক ডেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। রাতেই পাক বিমানহানার প্রত্যুত্তর দেয় ভারতীয় বিমানবাহিনী। সেই ’৭১-এর ডিসেম্বরে ১৪ দিনের যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম।

০৫ ১০
১৯৯৯ সালের মে মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা কার্গিল সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কার্গিল এলাকায় ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে পাক সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণরেখার ও পারে বিতাড়ন করে ভারতীয় বায়ুসেনা ও পদাতিক বাহিনী। মাস দুয়েকের ‘অপারেশন বিজয়’-এর পরে জয় পায় ভারত।

১৯৯৯ সালের মে মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা কার্গিল সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কার্গিল এলাকায় ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে পাক সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণরেখার ও পারে বিতাড়ন করে ভারতীয় বায়ুসেনা ও পদাতিক বাহিনী। মাস দুয়েকের ‘অপারেশন বিজয়’-এর পরে জয় পায় ভারত।

০৬ ১০
২০০১ সালের অক্টোবরে কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ৩৮ জন, ঠিক দু’ মাস পরে সংসদ চত্বরে জঙ্গি হানায় প্রাণ হারান ১৪ জন। সেই সময়ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের পক্ষে তীব্র দাবি উঠেছিল।

২০০১ সালের অক্টোবরে কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ৩৮ জন, ঠিক দু’ মাস পরে সংসদ চত্বরে জঙ্গি হানায় প্রাণ হারান ১৪ জন। সেই সময়ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের পক্ষে তীব্র দাবি উঠেছিল।

০৭ ১০
২০০৮ সালের ২৬ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৬৬ জন। পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠীই ছিল এই হামলার জন্য দায়ী।

২০০৮ সালের ২৬ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৬৬ জন। পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠীই ছিল এই হামলার জন্য দায়ী।

০৮ ১০
২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্জাবের পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চারদিন ধরে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সাত জন সেনা প্রাণ হারান, অভিযানে মৃত্যু হয় ছয় জঙ্গিরও।

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্জাবের পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চারদিন ধরে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সাত জন সেনা প্রাণ হারান, অভিযানে মৃত্যু হয় ছয় জঙ্গিরও।

০৯ ১০
২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরি সেক্টরে ১৯ জন সেনা প্রাণ হারান। যার জবাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। নিয়ন্ত্রণ রেখার ও পারে জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলিকে নিশানা করে অভিযান চালানো হয়। অন্তত ৩৫ জঙ্গির মৃত্যু হয় তাতে।

২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরি সেক্টরে ১৯ জন সেনা প্রাণ হারান। যার জবাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। নিয়ন্ত্রণ রেখার ও পারে জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলিকে নিশানা করে অভিযান চালানো হয়। অন্তত ৩৫ জঙ্গির মৃত্যু হয় তাতে।

১০ ১০
তবে কার্গিল যুদ্ধের সময়েও ভারতীয় সেনা পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমা পেরিয়ে ঢোকেনি পাকিস্তানে। ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের পর পাক আকাশসীমার এতটা ভিতরে আর কখনও হানা দেয়নি ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বারের অভিযানে এক হাজার কিলোগ্রামেরও বেশি ওজনের বোমা ফেলা হয়েছে। যা আগের বারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের চেয়ে অভিঘাত অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে কার্গিল যুদ্ধের সময়েও ভারতীয় সেনা পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমা পেরিয়ে ঢোকেনি পাকিস্তানে। ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের পর পাক আকাশসীমার এতটা ভিতরে আর কখনও হানা দেয়নি ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বারের অভিযানে এক হাজার কিলোগ্রামেরও বেশি ওজনের বোমা ফেলা হয়েছে। যা আগের বারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের চেয়ে অভিঘাত অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE