সামরিক পরিভাষায় নাম, ‘ইলেকট্রিক হেভিওয়েট টর্পেডো’। আদতে সমুদ্রের অতি গভীর অংশে আত্মগোপনকারী শত্রু-ডুবোজাহাজকে ধ্বংস করতে সক্ষম এক অস্ত্র। নৌসেনার জন্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও) এমনই এক অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘স্ট্রিং অফ পার্লস’ নীতি অনুসরণ করে দীর্ঘ দিন ধরেই তৎপরতা বাড়াচ্ছে চিনা নৌবাহিনী। মায়ানমারের কোকো দ্বীপপুঞ্জে চিনা ডুবোজাহাজ বহর মোতায়েন করা হয়েছে বলেও নানা আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দাবি। এই পরিস্থিতিতে ‘ইলেকট্রিক হেভিওয়েট টর্পেডো’-র সৌজন্যে ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগর-ভারত মহাসাগরে সম্ভাব্য সংঘাত-পরিস্থিতিতে ভারতীয় নৌসেনা ‘অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার’-এ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। তাঁদের মতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভরতা’র স্লোগানে নতুন মাত্রা আনতে চলেছে এই টর্পেডো।
আরও পড়ুন:
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, শত্রুসেনার নজরদারি এড়ানোর জন্য ‘স্টেল্থ’ প্রযুক্তিতে সজ্জিত নতুন ‘ইলেকট্রিক হেভিওয়েট টর্পেডো’ সমুদ্রের ৮০০ মিটার গভীরে লুকিয়ে থাকা ডুবোজাহাজকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে সক্ষম। ইতিমধ্যেই কয়েক দফা পরীক্ষায় নিখুঁত লক্ষ্যভেদে সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে এই টর্পেডো। কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ঘটালে তার পাল্লা বেড়ে ১১০০ মিটার হতে পারে। বর্তমানে ভারতীয় নৌসেনার হাতে ৬০০ মিটার গভীরে আঘাত হানার উপযোগী টর্পেডো রয়েছে। চিনা ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’র পরমাণু শক্তিচালিত ও পরমাণু অস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজগুলি সেই পাল্লার বাইরে থেকেই চলাচল এবং প্রতি-আক্রমণ চালাতে পারে।