These villages of Himachal Pradesh maintains silence for 42 days in winter dgtl
Manali villages
টানা ৪২ দিন কথা বলেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা, কেন জানেন?
হিমাচল প্রদেশের মানালির কুলু জেলার গোশাল গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দারা জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ পর্যন্ত কোনও কথা বলেন না।
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৪২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
হিমাচল প্রদেশের মানালির কুলু জেলার গোশাল গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দারা জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ পর্যন্ত কোনও কথা বলেন না।
০২১২
গোশাল ছাড়াও বুরুয়া, শানাগ ও কুলাং গ্রামেও এই প্রথা রয়েছে।
০৩১২
হিমাচল প্রদেশের মাঝাচ, পালচান, কোঠি, রুয়ার গ্রামের বাসিন্দারাও বিশ্বাস করেন এই ৪২ দিন নীরবতা পালনের বিষয়টি।
০৪১২
সোলাং ও রুয়ার মতো গ্রামে আবার চুপ থাকার পাশাপাশি বন্ধ থাকে কৃষিকাজও।
০৫১২
মাঘ মাসে মকর সংক্রান্তির সময় থেকে এই রীতি চালু হয়। কিন্তু ৪২ দিন এক টানা কেন চুপ করে থাকেন এই গ্রামগুলির বাসিন্দারা?
০৬১২
কারও মতে, এই সময় গভীর ধ্যান করে ঈশ্বর স্বর্গের পথে ফিরে যান। স্বর্গে যাওয়ার পথে অসুবিধার মুখে যাতে না পড়েন, তাই নাকি এই চল। তবে এই নিয়ে পৌরাণিক মতও রয়েছে।
০৭১২
বিপাশা নদীর পাশে ঋষি গৌতম তপস্যা করছিলেন। তাঁর তপস্যা যাতে ভঙ্গ না হয়, তাই নাকি এই ব্যবস্থা। বহু প্রাচীন একটি মন্দিরও রয়েছে এখানে। মকর সংক্রান্তির দিন লোহ্রিতে পূজার্চনার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দির।
০৮১২
গৌতম ঋষি ছাড়াও বেদব্যাস ও কাঞ্চন নাগের মূর্তিও রয়েছে এই মন্দিরে। মানালির গোশাল গ্রামের এই মন্দিরটি এই সময়ে পর্যটকের জন্য বন্ধ থাকে। মন্দিরে কোনওরকম পূজাও করা হয় না, সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানান পুরোহিত।
০৯১২
ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখের পর মন্দির খোলে। তা নিয়েও রয়েছে একটি মিথ। সেই সময়ে একটা ফুল যদি পড়ে থাকে মন্দিরের মেঝেতে, তা হলে তা গ্রামগুলির জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। আর তা যদি না হয়?
১০১২
যদি কয়লার টুকরো পড়ে থাকে, ধরে নেওয়া হয় গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে পাঁচ দিনের মধ্যেই।
১১১২
বৈজ্ঞানিক মত বলছে, বরফ ঢাকা এই জায়গাগুলিতে রোদের আভাস মিললে খোলে মন্দির। এতটাই বেশি বরফ পড়ে জায়গাগুলিতে যে, শীতকালে কর্মক্ষমতাই থাকে না স্থানীয় বাসিন্দাদের। বেশিরভাগ সময়টাই ক্লান্ত লাগে। তাই কথা বলার বা বাড়ি থেকে বেরোনোর সুযোগ প্রায় মেলে না।
১২১২
তবে চুপ করে থাকলেও গ্রামের মানুষ এই সময়ে হেডফোনে গান শোনেন, বেড়াতে যান, বাড়ির কাজ করেন। কোনও পর্যটককেও কথা বলার সুযোগ দেন না গ্রামের বাসিন্দারা।