এই ‘ওঁরা’ আসলে কারা? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন নর্তকী অ্যাগনেস দে মিলে। ‘ওঁরা’ যে আদতে ব্রডওয়ের থিয়েটারের নির্মাতা তিন শুবার্ট ভাই, সে কথা বলেছিলেন তিনিই। নাটকে কাজের সুযোগ পাওয়া বা কাস্টিংয়ের বিনিময়ে শরীর দানের এই ঘটনা থেকেই ‘কাস্টিং কাউচ’ শব্দবন্ধের সূত্রপাত। পরবর্তী কালে চলচ্চিত্র জগতের বহু নায়িকা যার শিকার হন। এমনকি মিটু আন্দোলন চলাকালীন বলিউডেরও এমন বহু ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে। জানা যায়, কাজ পাওয়ার বিনিময়ে বহু বলিউডের অভিনেত্রীকেই যৌন অনুগ্রহ করতে হয়েছিল পরিচালক-প্রযোজকদের।
পদ্মাবত-এর ‘আলাউদ্দিন খিলজি’-র চরিত্র রণবীর সিংহকে বলিউডের পাকাপোক্ত জায়গা এনে দিয়েছে বলে মনে করেন তাঁর সমালোচকরাও। ব্যান্ড বাজা বারাত থেকে অভিনয় জীবন শুরু করা রণবীর এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে গণ্য হন। এই রণবীরকেও কাস্টিং কাউচের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কেরিয়ারের শুরুতে হওয়া সেই অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন অভিনেতা।
রণবীর জানিয়েছেন, সেদিন ওই কাস্টিং ডিরেক্টর তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তবে রণবীরের বায়োডাটায় নজর দেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেননি তিনি। বদলে তিনি রণবীরকে পরামর্শ দেন ‘স্মার্ট অ্যান্ড সেক্সি’ হওয়ার। রণবীরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ইঙ্গিত দেন। অভিনেতাকে গড়িমসি করতে দেখে বিষয়টি নিয়ে দরাদরিও শুরু করেন। রণবীর অবশ্য শেষ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যানই করেছিলেন ওই কাস্টিং ডিরেক্টরকে।
রাজীব জানিয়েছেন, বলিউডের এক প্রথম সারির পরিচালক তাঁকে তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। বেশ কয়েকবার দেখা করতে ডেকেও পাঠান। কিন্তু দ্বিতীয় সাক্ষাতের পর রাজীবের মনে হয় কোথাও একটা গন্ডগোল হচ্ছে। কারণ ওই পরিচালক রাজীবকে তাঁর ঘরে যেতে বলেছিলেন। রাজীব অবশ্য নির্দেশ পালন করেননি। নিজের প্রেমিকার কথা জানিয়ে পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি বিসমকামী। বিষয়টি বুঝতে পেরে নাকি রাজীবের কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন প্রথম সারির ওই বলিউড পরিচালক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy