অতিমারি আবহে বাড়ির আরামে অফিসের কাজ করা সুবিধাজনক মনে হয়েছে অনেকেরই। অফিসের বসে কাজ করলে কর্ম তৎপরতা যেমন বাড়ে বলে মনে করেন কর্মীদের একাংশ, তেমন অন্য অংশের মত, বাড়ি থেকে কাজ করলে যাতায়াতের খরচ, সময়, পরিশ্রম কমে, অফিসে কাজের সময়টুকু বাদ দিলে হাতে সময়ও পাওয়া যায় অনেকটা। টিসিএস কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত এই বিশেষ শ্রেণির কর্মীদের উৎসাহিত করেছে।
টাটার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে কর্মীমুখী বলে প্রশংসাও করেছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, অতিরিক্ত সময় অফিসে থাকার ফলে কর্মীদের মানসিক অবসাদ, স্বাস্থ্যহানি, কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার মতো অনেক সমস্যা হয়। যা পরোক্ষে সংস্থার কাজেরও ক্ষতি করে। কর্মীদের কথা মাথায় রেখে টাটাগোষ্ঠীর এই সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে পারেন বাকিরাও।
সম্প্রতিই প্রায় ধুঁকতে থাকা সরকারি উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। ঋণে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া টাটার স্পর্শে প্রাণ পেয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, প্রায় ন’দশক আগে টাটা গোষ্ঠীরই হাত ধরে শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম উড়ান সংস্থা। দেশের প্রথম পাইলট জে আর ডি টাটা প্রতিষ্ঠিত সেই টাটা এয়ারলাইন্সের নাম বদলে ১৯৪৬ সালে হয় এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)। স্বাধীনতার পরে তার দখল চলে গিয়েছিল সরকারের হাতে। ২০১৪ সালে দেশের উড়ান পরিষেবায় বিদেশি লগ্নির পথ চওড়া করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সে বছর জুনে মালয়েশিয়ার ধনকুবের টনি ফার্নান্ডেজের এয়ারএশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের আকাশে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া-র পরিষেবা শুরু করে টাটা। পরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে যৌথ ভাবে চালু করে বিমান পরিষেবা সংস্থা ‘বিস্তারা’।
২০১২: স্টারবাক এখন ভারতের আনাচে কানাচে। এই বিদেশি এই কফি নির্মাতা সংস্থার একটি আউটলেটও ছিল না ভারতে। ২০১২-এ টাটার সঙ্গে হাত মেলায় স্টারবাক। যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় টাটা স্টারবাকস লিমিটেড। টাটা স্টারবাকস তার প্রথম দোকান খোলে মুম্বই শহরে। এখন শুধু কলকাতাতেই নিদেন পক্ষে ছ’টি দোকান রয়েছে এই কফি নির্মাতা সংস্থার।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজে নিজের জীবন কাহিনী বর্ণনা করেছেন রতন। সেখানে উঠে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা ওঠা-পড়া, ঘাত-প্রতিঘাতের কথা। সেখানেই রতন জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। বিয়ে করবেন ঠিকও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তাঁকে ভারতে আসতে দেয়নি। রতনও আর বিয়ে করেননি। তবে তাঁর অনুরাগীরা বলেন, বিয়ে করেছেন রতন। করেছেন তাঁর কাজের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy