ছোটবেলা থেকে মঞ্চে অভিনয় করতেন সঞ্জীব। পরে মুম্বই গিয়েও নাটকের দলের সদস্য হিসাবে যোগ দেন তিনি। মঞ্চে তাঁর নজরকাড়া অভিনয় থেকে বলিউডে ‘হম হিন্দুস্থানি’ ছবিতে ডাক পান সঞ্জীব। ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে খুব ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেও দর্শকের মন জিতে ফেলেন তিনি। তার পর একাধিক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেন।
নায়কোচিত চেহারা না হলেও সঞ্জীবের মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। সঞ্জীবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অঞ্জু মহেন্দ্রু নায়কের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সঞ্জীবের জীবনে এত নারী ছিল যে, তাঁদের নাম ধরে ডাকত না। সংখ্যা দিয়ে বোঝাত। তাঁদের প্রসঙ্গে কথা বললে এ ভাবে বলত, ‘৩ নম্বর আজ আমায় ফোন করেছিল। ৯ নম্বর আজ আমার সঙ্গে কী রকম একটা করেছে।’’’
বলিউডের একাংশের দাবি, পেশাগত সূত্রে পরিচয় হলেও বলি অভিনেত্রী সুলক্ষ্মণা পণ্ডিত নাকি সঞ্জীবের প্রেমে পড়ে যান। নায়ককে বিয়ে করতে চান বলে সরাসরি প্রস্তাবও দেন সুলক্ষ্মণা। কিন্তু সেই সময় সঞ্জীব নাকি হেমার প্রেমে ডুবেছিলেন। তাই সুলক্ষ্মণার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। ভালবাসার মানুষকে জীবনসঙ্গী করতে না পারায় সারাজীবন অবিবাহিতা থাকার সিদ্ধান্ত নেন নায়িকা।
অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, বলি অভিনেত্রী শাবানা আজ়মির প্রতিও ভাল লাগা ছিল সঞ্জীবের। শাবানাও নাকি অভিনেতাকে পছন্দ করতেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায়। সঞ্জীব এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, শাবানাকে পুত্রবধূ হিসাবে পছন্দ হয়নি তাঁর মায়ের। মায়ের অমতে অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক পাতাতে চাননি সঞ্জীব।
অঞ্জু এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘নারীদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল সঞ্জীব। ওর মন এত বার ভেঙেছে যে, বাস্তবটাই অন্য রকম ভাবে দেখা শুরু করে দিয়েছিল। সঞ্জীবের মনে হত, দুনিয়ার সব মেয়েই ওর সঙ্গে টাকার জন্য মিশছে। এটা ঠিক যে, অনেকেই সঞ্জীবের কাছে অকারণে ঘোরাফেরা করত। এমনকি, ও খেতে ভালবাসত বলে বাড়িতে রান্না করেও পাঠিয়ে দিত। কিন্তু কেউ কেউ সঞ্জীবকে সত্যিই ভালবাসত। সঞ্জীব তা বুঝতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আর সংসার-সুখ ওর ভাগ্যে জুটল না।’’
চলচ্চিত্রে সঞ্জীবের অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁকে বিশেষ সম্মান জানাতে ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফে ২০১৩ সালে অভিনেতার সচিত্র ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়। সংসার করা ছাড়াও আরও একটি ইচ্ছাপূরণ হয়নি অভিনেতার। নিজের বাড়ি করতে চেয়েছিলেন তিনি। বহু বছর ধরে চেষ্টা করার পর একটি সম্পত্তি কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেননি তিনি। তাই প্রচুর খরচ করে সম্পত্তি কিনলেও তার মালিকানা পাননি অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy